ঢাকার ধামরাইয়ে কেলিয়া এলাকায় বৃষ্টি আক্তার (২০) নামে এক কলেজ ছাত্রীর ঝুলন্ত মরাদেহ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার(১৫জুন) বিকাল ৫ঘটিকার সময় কুল্লা ইউনিয়নের কেলিয়া গ্রামে নিজ ঘরে ফ্যানের সাথে ওড়না পেছিয়ে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন। বৃষ্টি আক্তারের বাড়ী ধামরাই কুল্লা ইউনিয়নের কেলিয়া গ্রামের মোঃ আবু সাঈদের মেয়ে।
সে ধামরাই পলি টেকনিক্যাল কলেজের ২য় বর্ষের ছাত্রী। তার মা একজন গার্মেন্টস কর্মী আর বাবা রাজমিস্ত্রী এবং ভাই ছোট। এলাকাবাসি সুত্রে জানা যায়,
আজ সকালে বৃষ্টির মা রাশেদা বেগম যথারীতি তার অফিসে চলে যায়। আর বাবা রাজমিস্ত্রির কাজে চলে যায়।বাড়ীতে থাকে শুধু বৃষ্টি আর তার ছোট ভাই।দুপুরে দুই ভাইবোন এক সাথে খাওয়া দাওয়া করে। বৃষ্টি ঘরে ঘুমানোর জন্য বিছানায় শুয়ে পড়ে। ছোট বাচ্চা মানুষ সে খেলা ধুলা করার জন্য বাহিরে চলে যায়। এর বিকালে বৃষ্টির মা অফিস থেকে এসে ঘরের দরজা বন্ধ পেয়ে বৃষ্টি ও তার ভাইকে ডাকে। তখন ছোট ভাই এসে বলে আপু ঘরের শুয়ে আছে। এরপর বৃষ্টির মা রাশেদা বেগম বৃষ্টিকে ডাকতে থাকে কিন্তু ঘর থেকে কোন সাড়াশদ্ধ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে দেখে বৃষ্টি গলায় ওড়না পেছিয়ে ফ্যানের সাথে আত্মহত্যা করেছে।
পরে বৃষ্টির মায়ের চিৎকারে আশে পাশের লোকজন ছুটে আসে। পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ গিয়ে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন এবং বাবা মার কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ স্বজনদের কাছে হস্তান্তর করেন। এ ঘটনায় ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই)মোঃ সালাম বলেন, খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিদর্শন করেছি।তবে অবিভাবকের কোন অভিযোগ না থাকায় সবার সাথে পরামর্শ করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তন্তর করেছি।