ঢাকার ধামরাইয়ে পৌরসভার কুমরাইল মহল্লায় তিন মাসের শিশু বাচ্চাকে রেখে দুই সন্তানের জননী শিক্ষিকা নুরনাহার বেগমের (৩৪) রহস্যজনক মরদেহ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।এই ঘটনায় নুরনাহারের স্বামী মোঃ খোকন ও তার ভাই পলাতক রয়েছে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছেন।
গতকাল (১৪জুন) সকালে ধামরাই পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কুমরাইল মহল্লায় স্বামী খোকনের নিজ ঘর থেকে লাশ উদ্ধার করেন। তিনি কুমরাইল মনিং ডিউ স্কুলের শিক্ষকতাই কর্মরত ছিলেন। নুরনাহার পৌরশহরের কুমরাইল এলাকার নুর হোসেনের মেয়ে। তাদের ঘরে দুটি মেয়ে সন্তান রয়েছে বড় মেয়ের নাম খুশবো(৭)ও ছোট মেয়ে রোজা আক্তার বয়স মাত্র তিন মাস।
এলাকাবাসি ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়, খোকনের একটি রিকসার গ্যারেজ আছে সেখানে খোকন বেশি সময় পার করে। এদিকে স্ত্রী নুরনাহার স্কুল বন্ধ থাকার কারণে স্বামী খোকনের সাথে তার কাজে সহযোগীতা করে থাকেন। কিন্তু তারপর ও স্বামী খোকন স্ত্রীর সাথে মাঝে মধ্যে মারধর কওে বাপের বাড়ীতে পাঠিয়ে দিত। এরপরও সন্তানদের মুখের দিকে তাকিয়ে স্বামীর সংসার করে যাচ্ছে।
হঠাৎ গতকাল খোকন বাসায় এসে স্ত্রী নুরনাহারের সাথে ঝগড়া করে। পরে নুরনাহার জানতে পারে খোকন নাকি আরেকটা বিয়ে করেছে সে পল্লীবিদ্যুৎ ভাড়া থাকে। সেই কথা নিয়ে রাতে দুইজনের সাথে ঝগড়া হয় বলে জানান পাশের বাড়ীর লোকজন। আজ সকালে ঘরের দরজা খুলে বড় মেয়ে খুশবো চিৎকার করে দাদার কাছে ও নানীর কাছে গিয়ে বলে আমার মা কথা বলে না শুধু দাঁড়িয়ে আছে । চল চল আমার সাথে। পরে নানী ও দাদা গিয়ে দেখে গলায় রশি পেছিয়ে ঝুলে আছে।
এঘটনার পর থেকে স্বামী খোকন পলাতক রয়েছে। স্বামী নেশাগ্রস্ত বলে জানান এলাকাবাসী। খোকন মাঝে মধ্যে স্ত্রীকে মারধর করতো বলে অভিযোগ করেন নুরনাহারের নানী সুরিয়া বেগম খোকনের শাস্তি দাবি করেন। এঘটনায় ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিক হোসেন বলেন,নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। থানায় একটি ইউডি মামলা নেওয়া হবে। স্বামী খোকনকে আটকের চেষ্টা অব্যহত রয়েছে।