মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার তিল্লীতে সিরিজ ডাকাতির ঘটনায় খুন, অস্ত্র ও ডাকাতি মামলার ছয় আন্ত:জেলা ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করেছে সাটুরিয়া থানা পুলিশ। গত রবিবার পুলিশ সুপার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার রিফাত রহমান শামীম বিষয়টি নিশ্চিত করেন। সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার বলেন, এই ডাকাত সদস্যরা ২ জুন ও ৮ জুন সাটুরিয়া উপজেলার তিল্লী ইউনিয়নের তিল্লী ব্রিজের আশেপাশে রাস্তার উপর গাছ ফেলে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, প্রাইভেটকার, সিএনজিতে থাকা যাত্রীদের টার্গেট করে ডাকাতি করে।
মানিকগঞ্জ সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ভাস্কর সাহা বলেন, ডাকাতির ঘটনার পর সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফুল আলম ও ওসি তদন্ত মো. হাবিবুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গত ( ১২জুন )শনিবার সকাল থেকে বিভিন্ন সময়ে ঢাকার আশুলিয়া, সাভার ও টুঙ্গি এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এসময় তাদের কাছ থেকে দেশীয় ওয়ান শুটার গ্যান, নগদ ১০ হাজার ৫ শত টাকা, বিভিন্ন ব্রান্ডের ৪০টি মোবাইল, দুইটি ফ্রিজ, দেশীয় অস্ত্র এবং সোনা ও রুপার অলংকার উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেফাতার হওয়া ডাকাতগণ ডাকাতির কথা স্বীকার করেছে।
আইনি প্রক্রিয়া শেষে তাদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। সাটুরিয়া থানার ওসি তদন্ত মো. হাবিবুর রহমান বলেন, গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হচ্ছে দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার চেচুরিয়া এলাকার মৃত মোহম্মদ আলীর ছেলে কারুন মিয়া ওরফে শমসের মিয়া (৪৭), গাইবান্ধার সাদুল্লাপুর উপজেলার তিলকপাড়া এলাকার শফি মিয়ার ছেলে সুরুজ মিয়া (২৬), গাইবান্ধা সদর উপজেলার কাশাদহ গ্রামের উজ্বল মিয়া (২৪), একই জেলার পলাশবাড়ি উপজলোর দুর্গাপুর গ্রামের জব্বার মিয়ার ছেলে গোলজার ওরফে সাগর (৩৫), বগুড়া জেলার গাবতলী থানার সন্ধ্যাবাড়ি এলাকার রফিকুল ইসলামের ছেলে শাহিন (৩০) এবং টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার শাহ আলমের ছেলে টুটুল মিয়া (৩০)। সাটুরিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে ১০ থেকে ৪ টি করে ডাকাতির মামলা রয়েছে বিভিন্ন থানায়। আসামীদের বিরুদ্ধে সাটুরিয়া থানায় দুটি ডাকাতির মামলা করা হয়েছে। ডাকাতির ঘটনার সাথে সাটুরিয়ার তিল্লী এলাকার কেউ জরিত কি না তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।