ঢাকার ধামরাইয়ে ধর্ষণের ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে(ফেসবুক) ভাইরাল করার হুমকী দিয়ে এক প্রবাসীর স্ত্রীকে বার বার ধর্ষণ করার অভিযোগে এক ব্যবসায়ী গ্রেফতার হয়েছে। তার নাম মনির হোসেন। সে একজন মুদি ব্যসায়ী। সোমবার রাতে ধামরাই থানা পুলিশ ওই ধর্ষককে গ্রেফতার করেছে। এব্যাপারে ধামরাই থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের হয়েছে। মঙ্গলবার দুপুরে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে ওই ধর্ষককে ঢাকাস্থ ধামরাই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে ও ধর্ষিতাকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে রাজধানীর শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছে ধামরাই থানা পুলিশি। এঘটনায় এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে বলে জানা গেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে ধামরাই সদর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামে সোমবার দিবাগত রাতে। পুলিশ ও ভিকটিমের পরিবার জানায়,ওই গৃহবধূর স্বামী প্রবাসে থাকার সুযোগে একদা রাতে ওই গ্রামের মৃত আব্দুল হালিমের ছেলে মুদি ব্যবসায়ী মনির হোসেন ওই প্রবাসীর স্ত্রীর ঘরে ঢুকে তাকে জোরপূর্ব ধর্ষণ করে। কৌশলে ধর্ষণের ঘটনা মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে ওই ধর্ষক।
এরপর প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের ওই ভিডিও দেখিয়ে তা সামজিক যোগাযোগ মাধ্যমে(ফেসবুক)ভাইরাল করার ভয় দেখিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে বার বার ধর্ষণ করে ওই মুদি দোকানদার মনির হোসেন। স্বামীর ঘর রক্ষায় নীরবে নিভৃত্বে ওই ধর্ষকের ইচ্ছানুযায়ীই কোনমতে দিন পার করছে ওই প্রবাসীর স্ত্রী। অবশেষে নিরুপায় হয়ে সোমবার রাত ৭টার দিকে ওই ধর্ষক তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে আবারও ধর্ষণ করলে সে বাঁচাও বাঁচাও বলে ডাক চিৎকার করে।এসময় আশপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ওই ধর্ষক জীবনের বাজী রেখে ঘর তেকে বের হয়ে দৌড় দিলে স্থানীয় লোকজনও তার পীছু দৌড় দেয়। পরে তাকে হার্ডিঞ্জ উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজের পাশে এসে পাকড়াও করে। এরপর তাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে ধামরাই থানা পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।
এঘটনায় ওই রাতেই প্রবাসীর স্ত্রী বাদী হয়ে ওই ধর্ষকের বিরুদ্ধে নারী ওশিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। ওই ধর্ষককে রাতে থানা হাজতে ও প্রবাসীর স্ত্রীকে পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়। ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে মঙ্গলবার দুপুরের দিকে ওই ধর্ষককে পুলিশ পাহারায় ঢাকাস্থ ধামরাই জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রেরণ করে এবং ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য ওই প্রবাসীর স্ত্রীকে রাজধানীর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস পাঠানো হয়। এব্যাপারে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ধামরাই থানার উপ-পুলিশ পরিদর্শক(এস আই) মোঃ সেকেন্দার আলী বলেন,ধর্ষক গ্রেফতার হয়েছে। এব্যাপারে নারী শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। ভিকটিমের স্বাস্থ পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। ৫দিনের রিামন্ড চেয়ে ধর্ষকককে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।