মরণ ব্যাধি করোনা ভাইরাসেররুপ দিন দিন ভয়ংকর হয়ে উঠেছে।বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী করোনা সংক্রমণের হার দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে। বাংলাদেশে করোনা উর্দ্ধগতি সংক্রমণ ঠেকাতে চলছে ৭দিনের কঠোর লকডাউন। এই লকডাউনে জরুরি কারণ ছাড়া ঘরের বাহিরে বের হলে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে জনগণকে। কঠোর লকডাউন সফল করতে বিজিপি,সেনা মোতায়েন,ভ্রাম্যমাণ আদালত ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছে সমগ্র বাংলাদেশ।
তেমনী ভাবে ঢাকার ধামরাইয়ে লকডাউনে চলছে কঠোর আইনী ব্যবস্থা।কোন ভাবেই বিনা প্রয়োাজনে কাউকে বাহিরে বেরোতে দিচ্ছে না আইনশৃঙ্খলা বাহীনির লোকজন।নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য, চিকিৎসা সেবা ও বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সবাইকে নিজ নিজ এলাকায় ঘরে থাকতে নির্দেশ দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। জরুরি পরিসেবার যানবাহন,জরুরি অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ও সেবার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট অফিসের কর্মচারী ও যানবাহন প্রাতিষ্ঠানিক পরিচয়পত্র প্রদর্শন করেই যাতায়াত করতে দেওয়া হচ্ছে।
কঠোর লকডাউনে ধামরাই থানার পুলিশ বিভিন্ন হাট বাজার স্টেশন, রাজধানীর প্রবেশ মুখে চেকপোস্ট বসিয়ে শক্ত অবস্থানে রয়েছে বলে জানান দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা।প্রতিটি পাড়া মহল্লায় পুলিশের টহল জোরদার করা হয়েছে।রাস্তার প্রতিটি মোড়ে মোড়ে পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন। বিধিনিষেধের দ্বিতীয় দিনে সকাল থেকেই সড়কে গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে।মানুষের চলাচল খুবই সীমিত। দোকানপাট ও কাঁচাবাজার সীমিত আকারে খোললেও ক্রেতা শুন্যতায় তা বন্ধ করে দেয় ব্যবসায়ীরা।
এদিকে কঠোর লকডাউনে কারণে চাকুরিজীবিদের কর্মস্থলে যেতে কিছুটা ভোগান্তিতে পড়েছেন বলে জানাযায়।ধামরাইয়ের একটি গার্মেন্ট শ্রমিক রুবেল হোসেন বলেন, লকডাউনে গাড়ী না পেয়ে কর্মস্থলে যেতে পারি নাই।ফ্যাক্টরি থেকে আমাদের কোন গাড়ী ব্যবস্থা করা হয়নি।মনে হয় লকডাউনে কর্মস্থলে যাওয়া হবে না।কারণ লকডাউনে একে তো গাড়ী পাওয়া যায়না। যাও পাওয়া যায় তা আবার গাড়ী ভাড়া অনেক বেশি লাগে। ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক(এস আই) মোঃ আরাফাত হোসেন জানান, সরকারি নির্দেশনা বাস্তবায়নে সকাল থেকে আমরা ধামরাইয়ের আনাচে কানাচে রাস্তা ঘাটে টহল দিচ্ছি। পর্যাপ্ত পরিমাণে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।কঠোর লকডাউনে শক্ত অবস্থানে রয়েছে পুলিশ। সরকার জরুরি সেবা বলতে যা বুঝিয়েছেন এর বাইরে কোন যানবাহন চলতে দেওয়া হবে না। নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যসহ জরুরি সেবার প্রয়োজন হলে সেগুলো নিতে পারবে। অপ্রয়োজনে কেউ বাড়ীর বাহিরে অযথা কাউকে ঘোরাঘুরি করতে দেওয়া হবে না। কাওয়ালীপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ রাসেল মোল্লা বলেন, করোনা উর্দ্ধগতি সংক্রমণ ঠেকাতে এক সপ্তাহের জন্য কঠোর লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।কঠোর লকডাউনের আজ দ্বিতীয় দিন চলছে। মানুষের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এবং জরুরি প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওযার নির্দেশনা বাস্তবায়ন করতে রাস্তায় কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।