করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় অবসর সময়কে কাজে লাগিয়ে বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছেন আনারসের বাগান। সেই সাথে চায়না হাঁসসহ ৫০টি হাঁস পালন করেন।রোপন করেছেন বিভিন্ন প্রকারের ঔষধি গাছ। তিনি পেশায় একজন শিক্ষক।বর্তমানে তিনি ধামরাইয়ের জালসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় এর শিক্ষক মোঃ হাবিব উল্লাহ ( ৩৮)। মোঃ হাবিব উল্লাহ ধামরাই উপজেলার গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালী পাড়া এলাকার হাজী মোঃ কফিলউদ্দিন এর ছেলে। তিনি ৩৭ নং জালসা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক। সরেজমিনে দেখা যায়, ধামরাইয়ের গাঙ্গুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালী পাড়া এলাকায় মোঃ হাবিব উল্লাহ এর বাড়ির আঙ্গিনায় গড়ে তুলেছেন আনারসের বাগান। এই বাগান থেকে নিজের পরিবারের চাহিদা মিটিয়ে বাকি আনারস আত্মীয় স্বজন ও বন্ধু বান্ধবদের দিচ্ছেন হাবিব উল্লাহ। আর এতে স্বজনরাও খুব খুশি ফরমালিন মুক্ত এমন আনারস খেয়ে। শুধু আনারসই নয় এর সাথে রয়েছে সবজির চাষ, ঔষধি গাছ ও হাঁস পালন। বাড়ির আঙ্গিনায় আনারসের পাশাপাশি রয়েছে মিষ্টি লাউ ও মরিচের গাছসহ কয়েক প্রকারের ঔষধি গাছ। আনারস বাগানের পাশেই নেট (জাল) দিয়ে ঘরের মত করে সেখানে হাঁস পালন করছেন। চায়না হাঁসসহ ৫০ টি হাঁস রয়েছে যা শিক্ষক মোঃ হাবিব উল্লাহ ও তার স্ত্রী মাহফুজা সুলতানা পালন করেন।মাহফুজা সুলতানাও উপজেলার কাওয়ালীপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কর্মরত। মোঃ হাবিব উল্লাহ এর বন্ধু শহিদুল ইসলাম জানান, হাবিবের বাড়ির পাশেই আমার বাড়ি। হাবিব ছোট বেলা থেকেই খুব ব্রিলিয়ান্ট এবং সৎ। শিক্ষক মোঃ হাবিব উল্লাহ জানান, আমি দীর্ঘদিন ধরে শিক্ষকতা করছি। করোনার জন্য স্কুল বন্ধ হইয়ে যাওয়ার পর বাসায় অবসর সময় কাটানোর জন্য বাড়ির আঙ্গিনায় প্রথমে ৫০ টি আনারসের চারা লাগাই। সেখান থেকে আনারসের ভালো ফলন পাই এবং সেই আনারস খেতেও খুব মিষ্টি হয়। পরে দিন দিন এর চারা বৃদ্ধি হয়েছে আবার আমিও আরো চারা এনে লাগিয়েছি। এখন পাঁচ শতাংশ জমিতে প্রায় ৩শত আনারসের চারা আছে আমার এখানে। এখানে হানী কুইন ও ঘোড়াশাল নামের দুই জাতের চারা আছে। তিনি জানান, আমার এখানে ভালো ফলন হয়। আমার নিজের চাষ করা আনারস সব বন্ধু ও আত্মীয় স্বজনদের দিতে পারি এটা আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। সবাই খেয়ে অনেক প্রশংসা করে ফরমালিন ছাড়া আনারস পাওয়াতে। অনেকেই এখন আমার কাছ থেকে আনারসের চারা নিয়ে যায়। যারা চারা নিতে আসে তাদের সবাইকে আমি চারা দিয়ে দেই। কারো কাছ থেকে কোন টাকা পয়সা নেই না। কিভাবে পরিচর্যা করতে হবে তাও বলে দেই তাদের। শিক্ষক হাবিব উল্লাহ এর সহকর্মী এর মীর শফিকুল ইসলাম শিহাব ও দেলোয়ার হোসেন বলেন, হাবিব উল্লাহ আগে থেকেই বিষমুক্ত সবজি চাষ করতেন।এটা তার শখ। এবিষয়ে ধামরাই উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আরিফুল হাসান জানান, ধামরাইয়ের মাটি আনারস চাষের জন্য উপযুক্ত। তবে উচু নিচু মাটি দেখে চাষ করা উত্তম। প্রাথমিকের শিক্ষক হাবিব উল্লাহ আনারস বাগান আমি দেখি নাই।শুনেছি তিনি ঘোড়াশাল ও হানি কুইন জাতের আনারস চাষ করেছে।ঘোড়াশাল জাতের চেয়ে হানি কুইন উৎপাদনে ভালো এবং খুবই সুস্বাদু।ফলনও ভালো। উপজেলা কৃষি অফিসের মাধ্যমে সকল ধরণের কারিগরি সহায়তা করবো।