ঢাকার ধামরাইয়ের বাউখন্ড জিন্দাপীর কালুগাজীর দীঘিতে জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে নির্বিাচারে মারা হচ্ছে বিভিন্ন প্রজাতির পাখী। এই অভিযোগের তীর, ওই দীঘির মৎস্য চাসীদের বিরুদ্ধেই।এতে জীব বৈচিত্র হুমকীর মুখে পড়লেও কোন পদক্ষেপ নেই উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরের।
এব্যাপারে কোন পদক্ষেপ না নিয়ে তারা নীরব দর্শকের ভুমিকা পালন করছে বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। প্রতিদিনই ওই দীঘির জালের ফাঁদে আটকা পড়ছে শত শত বিভিন্ন প্রজাতির পাখী।পাখী গুলোর মধ্যে রয়েছে,ওয়াক,পানি কাউর,হরিতাল,ঘুঘু,কবুতর,বক,শাইলী শালিক,কাকাতোয়াস ও ডাহুক পাখী। জীবিত পাখী স্থানীয় বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে আর মৃত পাখীগুলো আশপাশে রাস্তার ধারে ফেলে দেয়া হচ্ছে। ফলে ওইসব পাখী পঁচে দুর্গন্ধে পরিবেশের মারাত্মক দুষণ ঘটছে। করোনাসহ বিভিন্ন ধরণের রোগবালাই ছড়িয়ে পড়ার আশংকা করছেন স্থানীয়রা। আজ বুধবার সরেজমিনে জানাগেছে,এ দীঘিটির বর্তমান মালিক আমতার ইউনিয়নের প্রয়াত সাবেক চেয়ারম্যান ও নান্দেশ্বরী গ্রামের বাসিন্দা শিল্পপতি মোঃ মতিয়ার রহমানের ছেলে বর্তমান চেয়ারম্যান চিত্র নায়ক মোঃ আবুল হোসেন। ২০২০-২০২১অর্থবছরে মাছ চাষের জন্য আবুল হোসেন চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ৩২লাখ টাকার বিনিময়ে দীঘিটির ইজারা নেন বাউখন্ড গ্রামের নিতাই চন্দ্র হালদার,বিজয় চন্দ্র হালদার,পরিমল হালদার,লালচান চন্দ্র হালদার ও ভজন চন্দ্র হালদার নামে ৫জন মৎস্য চাষী। এরা দীঘিটি ইজারা নেয়ার পর সম্প্রতি ওই দীঘির ওপরে ও চারপাশে জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে নির্বিচারে বিভিন্ন প্রজাতির পাখী মেরে ফেলছেন। জীব বৈচিত্র রক্ষায় এলাকাবাসী তাদের এব্যাপারে বাঁধা বিপত্তি করলেও ওই মৎস্য চাষীরা এতে কোন কর্ণপাত করছেননা। এমনকি উপজেলা প্রাণী সম্পদ অধিদপ্তরে বিষয়টি অবহিত করার পরও কোন পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে অভিযোগ করেন এলাকাবাসী। মৎস্য চাষীরা জানান, প্রতিদিন আমাদের চাষকৃত মাছ খেয়ে ফেলছে বিভিন্ন প্রজাতির হাজার হাজার পাখী। এতে আমরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছি। তাই বাধ্য হয়ে জাল দিয়ে ফাঁদ পেতে মাছ রক্ষা করছি পাখীদের কবল থেকে। পাখী মারার উদ্দেশ্যে আমরা এ জালের ফাঁদ পাতিনি। আমাদের ক্ষয়ক্ষতির কথা ভেবেই আমরা এ পথ অবলম্বণ করেছি। এব্যাপারে ইউপি চেয়ারম্যান চিত্র নায়ক মোঃ আবুল হোসেন বলেন, দীঘিটি ইজারা দেয়া হয়েছে মাছ চাষের জন্য। ইজারাদাররা কি করছে না করছে এব্যাপারে আমার কোন কিছুই জানা নেই। এখন বিষয়টি জানলাম,খোঁজ খবর নিয়ে ব্যবস্থা নেব। উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা মোঃ সাইদুর রহমান বলেন,লোকবলের অভাবে ঘটনাস্থলে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ঘটনাটি অত্যন্ত পরিতাপের বিষয়। খুবশীঘ্রই এব্যাপরে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে। প্রাণী সম্পদ কিংবা জীব বৈচিত্র রক্ষায় সমাজের বিবেকবান ও সচেতন প্রত্যেক মানুষেরই নৈতিক দায়িত্ব ও কর্তব।