ঢাকার ধামরাইয়ে বিয়ের দাবিতে প্রেমিকের বাড়ীতে অমরণ অনশন বসেছে একই গ্রামের এক প্রেমিকা রাজিয়া আক্তার।আজ শুক্রবার সকাল থেকে প্রেমিকা রাজিয়া আক্তার অনশন শুরু করেন। এমন ঘটনাটি ঘটেছে ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালীপাড়া আলতাব হোসেনের বাড়ীতে।তবে এই ঘটনার পর থেকে ছেলে মোঃ সুমন হোসেন বাবু পলাতক রয়েছে বলে জানাগেছে। মোঃ সুমনের বাড়ী ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়ালীপাড়া গ্রামের আলতাব হোসেনের ছেলে।তবে সুমন হোসেন বাবুর কাছে বিয়ের দাবিতে এই অনশন করছে বলে এলাবাসি আমাদেরকে জানান। এই ব্যাপারে ভোক্তভোগি মেয়ে রাজিয়া আক্তার জানান, মোঃ সুমন হোসেন বাবুর সাথে গত ৭টি বছর যাবত প্রেমের সর্ম্পক আমাদের। আমার বাড়ী ও সুমনের বাড়ী একই গ্রামে সেই সুবাদে সুমন আমাদের বাড়ীর সামনে দিয়ে প্রায় যাতায়াত করত। এক দিন মোঃ সুমন আমাদের বাড়ীর সামনে এসে আমার সাথে কথা বলে এবং আমাকে প্রেমের প্রস্তাব দেয়।আমি প্রথমে তার প্রস্তাবে রাজি হয় নাই। এর পর থেকে সুমন আমাদের বাড়ীর সামনে দিয়ে যাওয়া আসা করার সময় আমার সাথে কথা বলার জন্য বার বার চেষ্ঠা করে ব্যার্থ হয়।এর পর এক দিন আমার বাবা-মা বাড়ীতে না থাকায় এই সুযোগে আমাদের বাড়ীতে এসে আমাকে বিয়ের প্রস্তাব দেয় এবং হাদিস কুরাঅন নিয়ে সপত করে যে আমি তোমাকে বিয়ে করব বলে সপত করে। পরে আমি তার কথায় রাজি হই।এর পর থেকে সুমনের সাথে আমার সর্ম্পক তৈরি হয়। সুমন হোসেন বাবু প্রায় সময় আমাদের বাড়ীতে আসতো। এছাড়া আমার অফিস ছুটি হলে সুমন হোসেন বাবু আমাকে তার গাড়ীতে করে বাড়ীতে নিয়ে আসতো এবং বিভিন্ন সময়ে সুমন তার গাড়ীতে করে বিভিন্ন জায়গায় বেড়াতে নিয়ে যেত।আমি যখন মামার বাড়ীতে যেতাম সুমন আমার সাথে সেখানে যাইতো। একদিন সুযোগ বুঝে সুমন আমাদের বাড়ীতে এসে আমাকে বিভিন্ন ধরনের কথা বলে। কিন্তু আমি তার প্রস্তাবে রাজি না হওয়ায় সে আমাকে বলে আমি তো তোমাকে বিয়ে করব তাহলে তোমার সমস্য কোথায়। বলে আমার সাথে শারীরিক ভাবে সর্ম্পকে জড়িয়ে পড়ে।এই ভাবে চলতে থাকে অনেক দিন। এরই মধ্যে আমি সুমনকে বলি তোমি বলেছিলে আমাকে বিয়ে করবে তাহলে চল আমরা বিয়ে করে ফেলি। এই কথা শুনার পর সুমন আমাদের বাড়ীতে আসা আগের চেয়ে কমিয়ে দেয়।কিন্তু এর পর ও আমি তাকে বার বার বিয়ের কথা বললে সুমন আমার সাথে যোগাযোগ বন্ধ করে দেওয়ার চেষ্টা করে। পরে আমি গতকাল বৃহস্পতিবার দিনগত রাতে আমি সুমনকে ফোন দিলে সে আমাদের বাড়ীতে আসে এবং আমার সাথে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হতে চাইলে আমি ঝড়াঝড়ি করি। এই সময় পাশের বাড়ীর লোকজন জেনে আশে পাশের লোকজন এসে সুমনকে আটক করে। পরে ক্ষমতা দেখিয়ে সুমনের বড় ভাই শামীম হোসেন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জোর করে সুমনকে নিয়ে যায়। তাই উপায়ন্তর না দেখে আজ সকালে সুমনের বাড়ীতে বিয়ের দাবিতে অনশন করেছি। যদি সুমন আমাকে বিয়ে না করে তাহলে আমি এই বাড়ীতে আত্মহত্যা করব। এই ব্যাপারে মেয়ে বাবা মোঃ রাজামিয়া বলেন আমি ও আমার স্ত্রী সকালে বাড়ী থেকে কাজে বের হযে যায় আর সন্ধ্যায় বাড়ীতে আসি। কিন্তু এর মধ্যে সুমন আমার অনেক বড় ধরনের ক্ষতি করে ফেলেছে। আমি গরিব মানুষ কোন রকমে কাজ করে খায়।আমি এখন এই মেয়ে নিয়ে কোথায় যাব।আমি এর উপযুক্ত বিচার চাই। এই ব্যাপারে ঐ ওয়ার্ডের মেম্বার মোঃ লতিফ বলেন, ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে।এই জন্য আমি আমার চেয়ারম্যানকে জানিয়েছি এবং ছেলে মেয়ে দুই পক্ষকে সমাধানের কথা বলেছি। এই ব্যাপারে চেয়ারম্যান মোঃ কাদের মোল্লা বলেন, আমি অনশনের ব্যাপারে কিছু জানি না। আমাকে এখন পর্যন্ত কেউ জানায়নি। তবে এই গুলি আইনে ব্যাপার। এই ব্যাপারে কাওয়ালীপাড়া তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ মোঃ রাসেল মোল্লা বলেন, আমি দুই পক্ষকে সমাধানের কথা বলেছি। কিন্ত তারা সেটা করতে পারে নাই। অভিযোগ পেলে সুমন বিরুদ্ধে আইনত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।