আজ ৭ই আগস্ট থেকে শুরু হচ্ছে ছয়দিনের করোনা টিকা ক্যাম্পেইন। পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক, নারী, প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার ৩২ লাখ মানুষকে দেয়া হবে টিকা। বিষয়টি জানিয়েছেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, ৭ ফেব্রুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দেশে ১ কোটি ৯ হাজার ৯৫৩ জন করোনার ১ম ডোজ এবং ৪৪ লাখ ১৬ হাজার ১৩১ জন দ্বিতীয় ডোজ করোনার টিকা নিয়েছেন।
টিকা কার্যক্রমকে গতিশীল করতে ৭ আগস্ট থেকে ১২ আগস্ট পর্যন্ত ভ্যাকসিনেশন ক্যাম্পেইন করছে স্বাস্থ্য বিভাগ। এই সময় ২৫ ঊর্ধ্ব ব্যক্তি, পঞ্চাশোর্ধ্ব বয়স্ক, নারী, প্রতিবন্ধী এবং দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকার ৩২ লাখ মানুষকে টিকা দেয়া হবে।
শুক্রবার (৬ আগস্ট) সকালে, এক প্রেস ব্রিফিংয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আবুল বাসার মোহাম্মদ খুরশীদ আলম বলেন, করোনা প্রতিরোধী টিকা প্রদানের পরিসর বাড়াতে যাচ্ছে সরকার। এর অংশ হিসেবে ৭-১২ আগস্ট পর্যন্ত ছয়দিনে সারা দেশের ১৫ হাজারের বেশি টিকাদান কেন্দ্রে প্রায় ৩২ লাখ মানুষকে দেয়া হবে প্রথম ডোজ। এই সময়ের মধ্যে প্রতি জেলায় এক দিন করে এই কর্মসূচি চলবে। ২৫ ঊর্ধ্ব যারা নিবন্ধন করতে পারেননি, তারাও এই সময় টিকা নিতে পারবেন। তবে অগ্রাধিকার দেয়া হবে পঞ্চাশোর্ধ্ব, নারী ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের। ৭ আগস্ট থেকে ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে প্রান্তিক জনগণকে ভ্যাকসিনেশনের আওতায় আনার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। ৪৬০টি ইউনিয়ন, সব সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার ওয়ার্ড ভিত্তিতে টিকা প্রদান করা হবে। নিয়মিত টিকাদান কর্মসূচি অব্যাহত রেখে ক্যাম্পেইন পরিচালনা করা হবে।
৭ আগস্ট দেশের সব ইউনিয়ন, পৌরসভা, সিটি করপোরেশন এলাকায় টিকা দেয়া হবে। ৮ ও ৯ আগষ্ট বাদ পড়া পৌরসভা ও ইউনিয়নে ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম চলবে। ৭ থেকে ৯ আগস্ট সিটি করপোরেশন এলাকা, ৮ থেকে ৯ আগস্ট দুর্গম ও প্রত্যন্ত এলাকা এবং ১০ থেকে ১২ আগস্ট বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের জনগোষ্ঠীর ৫৫ বছর বয়সীদের টিকা দেয়া হবে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক আরো জানান, ১৮ বছর বয়সীদের অনেকের আইডি কার্ড নেই। এতে বিশৃঙ্খলা তৈরি হবে। তাই বয়স ১৮ না করে ২৫ নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে যারা আগে রেজিস্ট্রেশন করেছেন, তারা যেখানে কেন্দ্র নির্ধারণ করেছেন সেখানে টিকা নেবেন। ক্যাম্পেইনের টিকাদান আলাদাভাবে পরিচালিত হবে। যে কোনো ভ্যাকসিনেশন কার্যক্রম সুনির্দিষ্টভাবে প্রদানে পরিকল্পনা করা সম্ভব হয় না। আমরা আমাদের সক্ষমতা অনুযায়ী পরিকল্পনা তৈরি করেছি। দেশে ভ্যাকসিনের ঘাটতি থাকলেও সবাইকেই ভ্যাকসিন প্রদানে সরকার বদ্ধপরিকর।