দুপুর ১ টায় কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে জানান, গতকাল বুধবার রাত সাড়ে ৯ টার পরে কুষ্টিয়ার মিরপুর থানায় ৯৯৯ থেকে একটি ফোন আসে। মিরপুর থানা পুলিশ তাৎক্ষনিক মশান বাজারস্থ শাহাপাড়া গ্রামের আমিরুলের বাড়ীর ক্যানেলের পাড় থেকে ৬ বছরের এক শিশু কন্যা গলাকাটা লাশ উদ্ধার করে পুলিশ ।
পুলিশ শিশুর পরিচয় জানতে পারে তার নাম জান্নাতুল খাতুন।সে শাহাপাড়া গ্রামের জাহিদুল ইসলামের কন্যা।এ ঘটনায় পুলিশ সন্দেহ ভাজন হিসেবে শিশুটির আপন ফুফু জোহরা খাতুন(২৫) ও তার স্বামীকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নিয়ে আসে। পরে পুলিশি জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে জানাযায় তার আপন ফুফু জোহরা শিশুটিকে হত্যা করেছে। এসপি খাইরুল আলম জানান, হত্যাকান্ডের কারণ হিসেবে সে জানায় গত রবিবার (৮ আগস্ট) জোহরা খাতুনের সাথে নিহত জান্নাতুলের মা আখী বেগমের পারিবারিক বিষয়ে কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আখী বেগম তার ননদ জোহরাকে বাড়ি থেকে বের করে দেয়। এ কারনে জোহরা বেগমের মনে তার ভাই ও ভাবীর প্রতি ক্ষোভের সৃস্টি হয়।সেই ক্ষোভের বশবর্তী হয়ে ১১আগস্ট বুধবার জান্নাতুল খাতুন তার ফুফু জোহরার বাড়ীতে খেলা করতে আসলে বিকাল ৫ টার দিকে জোহরা কৌশলে জান্নাতুলকে তার রান্নাঘরে নিয়ে কুপিয়ে গলা কেটে নৃশংস ভাবে হত্যা করে বাজার করা প্লাস্টিকের ব্যাগের মধ্যে ঢুকিয়ে লাশ গুম করার জন্য ঘটনাস্থল ক্যানেলের পাড়ে ফেলে আসে। কুষ্টিয়া জেলা পুলিশ সুপার খাইরুল আলম এর নির্দেশনায় মিরপুর থানা পুলিশ শিশু হত্যাকান্ডের রহস্য উদঘাটন, আসামী গ্রেফতারসহ হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত রক্তমাখা ১ টি বটি ও প্লাস্টিকের বাজারের ব্যাগ উদ্ধার করে পুলিশ। আটক হত্যামামলার আসামী জোহরাকে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে। আদালতে জোহরা ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবান বন্দি দিয়েছে। আদালত জোহরাকে জেল হাজতে প্রেরণ করেছেন।