বিনম্র শ্রদ্ধা ও নানা আয়োজনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৬তম শাহাদত বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস পালিত হয়েছে। গত ১৫ আগষ্ট রোববার শাহাদাৎ বার্ষিকী ও জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে জাতির জনকের প্রতিকৃতিতে সকাল ৭টা ৩০ মিনিটে মানিকগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা স্মৃতিফলকে যথাযথ মর্যাদায় সকল শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নিরবতা পালনের মধ্য দিয়ে পুস্পস্তবক অর্পণ করেন মানিকগঞ্জ জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মাদ গোলাম আজাদ খান পিপিএম-বার, জেলা আ’লীগের সভাপতি গোলাম মহীউদ্দীন, সাধারণ সম্পাদক আব্দুস সালাম, পৌর মেয়র মোঃ রমজান আলী, জেলা আ’লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সুলতানুল আজম খান আপেল, কাজী এনায়েত হোসেন টিপুসহ বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দ।
এছাড়া পুস্পস্তবক অর্পণ করাসহ জেলায় গভীর শ্রদ্ধ্যায় নানা কর্মসূচী ও আয়োজনের মধ্য দিয়ে দিনব্যাপী জাতীয় শোক দিবসের কর্মসূচি পালন করেছে জেলা আ’লীগ, জেলা পরিষদ, মানিকগঞ্জ পৌরসভা, জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সরকারি দেবেন্দ্র কলেজ, জেলা যুবলীগ, ছাত্রলীগ, জেলা তথ্য অফিস, সরকারী বেসরকারী অফিসসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক সংগঠন। এবারও বৈশ্বিক করোনা মহামারির কারণে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত ও স্বাস্থ্যবিধি মেনে মিলাদ ও দোয়া মাহফিলসহ ও অন্যান্য কর্মসূচী পালিত হয়েছে। উল্লেখ্য ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট ভোর রাতে সেনাবাহিনীর কয়েকজন বিপথগামী সদস্য ধানমন্ডির বাসভবনে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে। ঘাতকরা শুধু বঙ্গবন্ধুকেই হত্যা করেনি, তাদের হাতে একে একে প্রাণ হারিয়েছেন বঙ্গবন্ধুর সহধর্মিণী বঙ্গমাতা বেগম ফজিলাতুন নেছা, বঙ্গবন্ধুর পুত্র শেখ কামাল, শেখ জামাল ও শিশু শেখ রাসেলসহ পুত্রবধূ সুলতানা কামাল ও রোজি জামাল। সে সময় বঙ্গবন্ধুর দুই কন্যা শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানা বিদেশে থাকায় তারা প্রাণে রক্ষা পান।