ঢাকার ধামরাইয়ে বাথুলী মহাসড়ক থেকে কাওয়ালীপাড়া টু টাঙ্গাইল মির্জাপুর যাওয়ার রাস্তার বেহাল অবস্থা।তাই মনের আক্ষেপে এলাকার লোকজন বলেন আমরা সাধারণ মানুষ ভোটের সময় আসলে নেতাকর্মীরা আমাদের শুধু আশ্বাস দিয়ে থাকে রাস্তা করে দিবে। কিন্তু বাস্তবে তার উল্টো ভোট শেষ আর দেখা মেলে না কোন মেম্বার চেয়ারম্যান ও নেতাকর্মীদের।আপনারা দেখেন এটা রাস্তা না মানুষের মরণ ফাঁদ। একটু এদিক সেদিক হলে ঘটে দূর্ঘটনা।যার কারণে দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে পথচারিদের। এলাকাবাসি বলে এই রাস্তা দিয়ে সকাল থেকে শুরু করে রাত পর্যন্ত চলে দুরদুরান্তের বিভিন্ন রকমের যানবাহন।তারা এই রাস্তা দিয়ে চলতে গিয়ে বেশির ভাগ সময়ে দূর্ঘটনার কবলে পরতে হচ্ছে তাই এইঅবস্থায় রাস্তার কাজ দ্রত না করলে জনদূর্ভোগ পোহাতে হবে এলাকবাসিসহ বিভিন্ন যানবাহনের। কিন্তু বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে লক্ষাধিক মানুষ ও যানবাহন চলাচল করছে এই রাস্তা দিয়ে।ছোট বড় গাড়ি জীবনের ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এছাড়া বাথুলি থেকে কাওয়ালীপাড়া পর্যন্ত রাস্তার প্রায় জায়গাতেই রয়েছে খানাখন্দ। রাস্তাটি খানাখন্দের কারণে প্রায় ৩ মাস ধওে এই রাস্তা দিয়ে যান চলাচলের অনুপোযোগী হয়ে পড়েছে। কিন্তু স্থানীয় প্রশাসন কিংবা জনপ্রতিনিধিদের এই নিয়ে কোন মাথা ব্যথা নেই বলে দাবি স্থানীয়দের।পাশ দিয়ে বিকল্প হিসেবে ইট সিলিং রাস্তা থাকলেও তা অনেক আগেই ভেঙে নষ্ট হয়ে গিয়েছে।যান চলাচল দুরের কথা পায়ে হেটেঁ ভাঙা সড়কে চলাচলকারী এলাকাবাসী মহাদুর্ভোগের মধ্যে পড়েছেন জানান তারা।বৃষ্টি হলে রাস্তায় হাঁটা যায় না।একাধিক জায়গায় রয়েছে বড় বড় ফাটল ও গর্ত। স্থানীয়রা জানান,দীর্ঘ ৩ মাস ধরে রাস্তাটি এমন ভাবে ভেঙে পড়েছে,জীবনের ঝুঁকি নিয়ে মানুষ চলাচল করছে।কিন্তু হচ্ছে না কোন মেরামতের ব্যবস্থা।এখনো কোন জনপ্রতনিধি দেখতেও আসে নি।এখানে বড় দূর্ঘটনার আশংকা করছে এলাকাবাসি। বেলিস্বর এলাকার আব্দুর রহিম বলেন,আমি ছোট ট্রাকে করে বাড়িতে একটি ফ্রিজ নিয়ে যাচ্ছি। কিন্তু রাস্তা ভাঙা থাকার কারণে গাড়ি থেকে নেমে যাচ্ছি ভাঙা অংশ পার হইয়ে তার পর আবার গাড়িতে উঠবো। এাছাড়া প্রায় ২০কিলোমিটার রাস্তা ঘুরে আসতে হবে। তিনি স্থানীয় জন প্রতিনিধিসহ সরকারের কাছে আবেদন জানান যেন অতি তাড়াতাড়ি রাস্তাটি মেরামত করে জনগণের চলাচলের সু- ব্যবস্থা করা হয়। বাথুলি থেকে জালসা বউ বাজার পর্যন্ত আঞ্চলিক রাস্তার বিভিন্ন জাগায় পিচ উঠে গেছে।এর ওপর দিয়ে যানবাহন চলাচল করায় ছোটবড় হাজারো গর্তের সুষ্টি হয়েছে।বৃষ্টি হলে এসব গর্তে জমে থাকে পানি দুর্ঘটনার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।আর এই ভাঙা রাস্তা দিয়ে প্রায় প্রতিদিনই রিকশা-ইজিবাইক উল্টে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে।রাস্তা হয়ে গেছে বেহাল অবস্থা।কারণ বিকল্প কোন রাস্তা না থাকায় প্রতিদিন লক্ষাধিক মানুষ যাতায়াত করছে। স্থানীয় আব্দুল কদ্দুচ অভিযোগ করে বলেন,কর্তৃপক্ষের অবহেলার কারণে প্রায় ৩/৪ মাস ধরে সড়কটুকু বেহাল থাকায় জনগণের ভোগান্তি চরম আকারে ধারণ করেছে। সড়কের বিভিন্ন জাগায় তৈরি হয়েছে অসংখ্য গর্ত। পিচ উঠে গিয়ে এটি মাটির রাস্তায় পরিণত হচ্ছে।বৃষ্টি হলেই জমে হাঁটু পানি।পাকা রাস্তার বেহাল অবস্থা। রাস্তা দিয়ে ইটভাটার বড় বড় মাটির গাড়ী ও ইট বহনের ড্রাম ট্রাক চলাচল করে। সবই এখন শুভঙ্করের ফাঁকি।কবে রাস্তা ঠিক হবে তার কোন নিশ্চিয়তা নাই। সূতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রেজাউল করিম রাজা বলেন, এই রাস্তাটি দীর্ঘদিন ধরে খানাখন্দে পড়ে আছে।বিষয়টি আমি কয়েক দিন আগে উপজেলা প্রকৌশলীকে জানিয়েছি।কাজ আসলে দ্রত এই রাস্তার কাজ করা হবে। এ বিষয়ে ধামরাই উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আজিজুল হক বলেন,বাথুলি থেকে জালসা দিয়ে কাওয়ালীপাড়া যাওয়ার রাস্তাটি ভেঙে গেছে আমি জেনেছি।আমি দ্রত রাস্তাটি পরিদর্শন করে মেরামতের কাজের ব্যাবস্থা করবো।