ঢাকার সাভার উপজেলার আশুলিয়া থানাধীন রোববার মধ্যরাতে বংশী নদীর তীরবর্তী নয়ারহাট বাজারে স্বর্ণপট্রিতে গণডাকাতির ঘটনা ঘটেছে।১৮টি স্বর্ণের দোকান ও একটি মুদিখানা দোকানে এ দুর্ধর্ষ ডাকাতি সংঘটিত হয়েছে। বাজারের ৪জন পাহারাদারসহ ডাকাতি হওয়া দোকানের মালিক-কর্মচারিকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে একটি কক্ষের ভেতর বেঁধে রেখে এবং তাদের মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিয়ে নির্বিঘে ডাকাতি করে ডাকাতরা।শুধু তাই নয় বাজারের প্রধান রাস্তা দিয়ে যাতায়াতরত পথচারিদেরও বেঁধে রাখা হয়। প্রায় আড়াই ঘন্টাব্যাপী এ ডাকাতি সংঘটি হয় বলে পাহারাদার ও ভুক্তভোগি দোকান মালিক কর্মচারিরা নিশ্চিত করেছেন দুটি স্যালু ইঞ্জিন চালিত নৌকাযোগে অর্ধশতাধিক ডাকাত নয়ারহাট নৌঘাটে এসেই প্রথমে ঘাটা পাহারা দারদের অন্ত্রের মুখে জিম্মি করেই বাজারে প্রবেশ অপর পাহারা দারদের ও একই কায়দায় জিম্মি করে ফেলে। এরপর তারা ওই ১৮টি স্বর্ণের দোকান ও একজটি মৃুদিখানা দোকানের তালা ভেঙে এ ডাকাততি করে।সোমবার সকালে আশুলিয়া থানা,সাভার-সার্কেলের পুলিশ ও প্রশাসনের কর্মকর্তারা সরেজমিনে পরিদর্শন করেছেন বলে জানাগেছে। এঘটনায় পুরো এলাকাজুড়ে ছড়িয়ে পড়েছে চরম ডাকাত আতংক। নয়ারহাট বাজারের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত সিকোউরিটি ইনচার্জ মোঃ বাবুল হোসেন বলেন,রাত তখন অনুমান দেড়টা হবে।আমি নৌঘাট চৌকিতে নিরাপত্তার দালিত্বে নিয়োজিত। এসময় দুটি ইঞ্জিন চালিত নৌযান ভীড়ে নয়ারহাট নৌঘাটে।আমি এগিয়ে গিয়ে দেখি তারা সংখ্যায় প্রায় ৫০-৬০জন হবে।বিষয়টি আমার সন্দেহে হলে মোবাইল ফোনে বিষয়টি অন্যান্য পাহারাদার ও থানা পুলিশকে অবহিত করতে গেলে তারা নৌযান থেকে নেমেই আমাকে জিম্মি করে আমার মোবাইল ফোনটি কেড়ে নেয় এবং খুটির সঙ্গে বেঁধে ফেলে।এরপর বাজারের ভেতরে ঢুকে অপরাপর পাহাদারদেরও একই কায়দাং জিম্মি করে ফেলে এবং বাজারের প্রদান রাস্তাটির দুই পাশে ডাকাতরা অবস্থান নেয়। দুইপাশ থেকে আসা পথচারিদেরও তারা বাঁদতে থাকে পরে আমাদের সবাইকে একটি কক্ষের মধ্যে বেঁধে রাখা হয়। এরপর ডাকাতরা তুহিন জুয়েলারি ওয়ার্কসপ,শুভ জুয়েলার্স, পার্থ জুয়েলারি ওয়াবসপ,সাথী জুয়েলারী ওয়ার্কসপ,জবা স্বর্ণালয়,ভুমি জুয়েলারি ওয়ার্কসপ,সূচী জুয়েলার্স, ভুমি জুয়েলার্স, সুষ্মিতা জুলোর্স,মাহফুজা জুয়েলার্স,লিটন জুয়েলার্স,দীলিপ স্বর্ণালয়সহ ১৯টি স্বর্ণের দোকান ও মজিদ স্টোরে (মুদি) তালা ভেঙে ডাকাতি করে ডাকাতরা।প্রায় আড়াই ঘন্টাব্যাপী ডাকাতি সংঘটিত হয়। ডাকাতি হওয়া স্বর্ণের পরিমাণ জানা যায়নি।তবে প্রাথমিক ভাবে ধারনা করা হচ্ছে কয়েক কোটি টাকার র্স্বণ লুট করেছে সংঘবদ্ধ ডাকতরা। ইকরা লাইব্রেরির মালিক মোঃ নাইম হোসেন বলেন,ডাকাতির ঘটনায় এখন ভয় হচ্ছে। চারদিকে ছড়িয়ে পড়েছে চরম আতংক। দ্রæত এ ডাকাতদের গ্রেফতার করা সম্ভব না হলে নিরাপত্তা হুমকীর মুখে পড়বে বলে আশংকা করা হচ্ছে। এব্যাপারে আশুলিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ পুলিশ পরিদর্শক মোঃ কামরুজ্জামান বলেন,ইহা একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। এলাকায় চুরি ডাকাতি নেই বললেই চলে।ডাকাতির ঘটনা পুলিশকে ভাবিয়ে তুলেছে।সঙ্গীয় অফিসার ও ফোর্সসহ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি।ডাকাতি হওয়া মালামালের পরিমাণ নিরূপণ করা হচ্ছে।ডাকাতদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহ রয়েছে। থানায় একটি মামলা দায়ের প্রক্রিয়াধীণ রয়েছে।