ঢাকার ধামরাইয়ে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতির উপর হামলা বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে।এ ঘটনায় ভুক্তভোগী আওয়ামী লীগ নেতা দেলোয়ার হোসেন(ধলুর)ছেলে বিপুল হোসেন বাদী হয়ে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন। সোমবার(১৩সেপ্টেম্বর) দুপুরের দিকে ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের পশ্চিমসুত্রাপুর গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেন ধলুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্তরা হলো,মৃত ছমির আলীর ছেলে মোঃ বজলু(৪৫),মৃত লতিফ মিয়ার ছেলে কহিনূর ইসলাম (৪২),ছমির আলীর ছেলে সুজন আলী(৩০),মোঃ আলীর ছেলে আলামিন(২৫),মৃত পিয়ার আলীর ছেলে বাবুল হােসেন (৫০),বাবুল হোসেনের ছেলে রাকিব হোসেন (২২),পিয়ার আলীর ছেলে রজ্জব আলী (৫৫) সহ আরো কয়েক জন। ভুক্তভোগীরা হলেন,বালিয়া ইউনিয়নের একই গ্রামের ৫নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ধলু,দেলোয়ার হোসেনের ছেলে বিপুল হোসেন(২৫),সোহেল হোসেন (৩২), আব্দুল হালিম (৬৫), শহিদা আক্তার (৪৫) ও সেলিনা আক্তার (৩৪)। অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আজ সোমবার দুপুরের দিকে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে লাঠি-সোঁটা, লোহার রড ও অস্ত্র নিয়ে অভিযুক্তরা
অতর্কিতভাবে আঃলীগের ওয়ার্ড সভাপতি মোঃ দেলোয়ার হোসেনের উপর হামলা চালায়।এর পর তারা বাড়ি-ঘর ভাঙ্গচুর করে পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে তাদেরকেও মারধর করে।ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন ধলুকে হত্যার উদ্দেশ্যে অভিযুক্ত বজলু চাপাতি দিয়ে দেলোয়ার হোসেনের গাঁড়ে কোপ দিলে দোলোয়ার সরে দাড়াঁয় তখন তার চাপাতির কোপে পায়ের গোড়ালি কেটে মাটিতে পড়ে যায়।পরে দেলোয়ার হোসেনকে এলোপাথাড়ি মারধর করলে তার ডাকচিৎকারে আশে পাশের লোকজন দৌড়িয়ে এসে দেলোয়ারকে উদ্ধার করে ধামরাই সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করে।শহিদা আক্তার ও সেলিনা আক্তার নামে দুই নারীকে মারধর ও টানাহেঁচড়া করে শ্লীলতাহানির করে অভিযুক্তরা।এ নিয়ে এলাকায় বেশ উত্তেজনা বিরাজ করছে। এবিষয়ে বালিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আহম্মদ হোসেন বলেন,আমি বিষয়টি শুনেছি।মজিবুর এলাকার কিছু বিএনপির লোকদের নিয়ে এই ঝামেলা সৃষ্টি করেছে। চেষ্টা করছি এই সমস্যা সমাধানের জন্য। এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক মনির হোসেন জানান,এবিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ হাতে পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনাগত ব্যবস্থা গ্রহণ নেওয়া হবে