ঢাকার ধামরাইয়ে জমি দখলকে কেন্দ্র করে দুই গ্রুপের মধ্যে দাঙ্গা। পরে দফায় দফায় সংঘর্ষ হলে ঐ এলাকায় রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। পরে ধামরাই থানার পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে আনে। এতে কালামপুর এলাকায় পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।এই নিয়ে এলাকায় উত্তেজনা বিরাজ করছে। যে কোন মুহুর্তে ভয়াবহ সংঘর্ষ হতে পারে বলে জানান এলাকার লোকজন। এঘটনায় আহতদের উদ্ধার করে ধামরাই সরকারী হাসপাতালসহ বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানাগেছে।ঘটনাটি ঘটেছে আজ বুধবার দুপুরে ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের কালামপুর সাব রেজিস্ট্রার অফিসের সামনে। স্থানীয় এলাকাবাসি সুত্রে জানাযায়, ক্রয় সুত্রে জায়গার মালিক মোঃ আল মামুন।সেই জায়গায় আজ দুপুরে মামুন মাটি ফেলে ভরাট করতে গেলে কালামপুর এলাকার মোঃ ইউছুব আলী জায়গার মালিক দাবি করে বাধাঁ দেয়।এই সময় মামুন গিয়ে ইউছুবের কথা না মেনে কাজ চালিয়ে যায়।এর পরেই দুই গ্রুপের মধ্যে শুরু হয় দফায় দফায় সংঘর্ষ এতে ৭জন আহত হয়।থানায় খবর দিলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়তন্ত্রে আনে।পরিস্থিতি খারাপ দেখে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। তবে যে কোন সময় রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হতে পারে বলে জানান তারা। আহতরা হলেন,মোঃ জসিম উদ্দিন বাবুল,মোঃ আল মামুন, মোঃ এরশাদুর রহমান,মোঃ রেজাউল করিম,ভেন্ডার মোঃ ইউছুব আলী, মোঃ সাইদুর রহমান, মোঃ ফরিদুর রহমান।এদের উভয়ের বাড়ী কালামপুর এলাকায় বলে জানাযায়। এই বিষয়ে কথা হয় জমির মালিক মোঃ আল মামুনের সাথে তিনি আমাদের জানান,আমি গত দুই বছর আগে এস এ ও আর এস রেকডীয় মালিক মৃত নিজামুদ্দিনের ছেলে মেয়েদের কাছ থেকে জমিটি ক্রয় করি। সেখানে পুকুর থাকায় গত বছর বন্যার করণে ভরাট করতে পারি নাই।সেই কারণে আজ বালি দিয়ে ভরাটের কাজ করার সময় ইউছুব ও তার ভাইয়েরা এসে আমাকে বাধাঁ দেয়।তখন আমি বলি কাগজ পত্র দেখেন আমি মালিক কিনা। কিন্তু ইউছুব জোর করে আমার ক্রয়কৃত জায়গা দখলে বাধাঁ দেয়। আমি তার বাধাঁ উপেক্ষা করে কাজ করলে ইউছুব তার দলবল নিয়ে আমার লোকদের উপর হামলা চালায়। এই বিষয়ে মোঃ ইউছুব আলী বলেন,এই জায়গা আমি দীর্ঘ ৫০ বছর যাবত ভোগদখলে আছি।আমার বাবা হিন্দুদের কাছ থেকে ক্রয় করেছিল সেই সুত্রে আমরা মালিক হয়ে ভোগদখলে আছি।কিন্তু হঠাৎ করে মামুন আমার জায়গা দখল করতে বালু ফেলে।তখন আমি গিয়ে তাকে বাধাঁ দিলে সে আমার বাধাঁ উপেক্ষা করে কাজ করে। এই বিষয়ে ধামরাই থানার এস আই মোঃ আশরাফ হোসেন ও এস আই মোঃ সজীব বলেন,খবর পেয়ে দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে দুই পক্ষের লোকজনের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রে আনি।