ঢাকার ধামরাইয়ে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের সংঘর্ষে আহত হয়েছেন চারজন।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ধামরাই থানায় দুই পক্ষ পাল্টা পাল্টি অভিযোগ দায়ের করেছে বলে জানাগেছে। গত বুধবার(২০সেপ্টেম্বর) দিবা গত রাত ৮টার সময় ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের ফোর্ডনগর ফকির পাড়া গ্রমে হযরত এন্ড রবিউল হ্যান্ডিক্যাপ একটি কুটির শিল্প কারখানায় ঘটনাটি ঘটে। আহতরা হলেন.মোঃ ইমরান হোসেন ও তার ভাই হায়দার আলী পিতা লোকমান হোসেন. মোঃ মামুন হোসেন.বোন সোনিয়া বেগম. পিতা মোঃ নিলা মিয়া।তারা একই এলাকার বাসিন্দা। এলাকাবাসী ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়.গত ২০ সেপ্টেম্বর রোজ বুধবার দিবা গত রাত ৮ ঘটিকার সময় হযরত এন্ড রবিউল হ্যান্ডিক্যাপ একটি কুটির শিল্প কারখানার শ্রমিক মামুন ও হায়দার দুইজনে কাজ করার সময় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দুইজনের মধ্যে বাকবিতন্ড হয়। এই ঘটনায় পর দুইজনকে মিমাংসা করার লক্ষে এক জায়গায় বসে।সেখানে মামুন ও তার পিতা নিলামিয়া চলে যাওয়ার সময় হঠাৎ করে মামুন পিছনে থেকে গিয়ে হায়দারের মাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়।তখন হায়দারের ভাই ইমরান এগিয়ে গিয়ে মামুনকে ধরে।সেখানে দুই পক্ষের মারামারিতে চার জন অহত হয়।পরে গ্রামের লোকজন এসে ৯৯৯ লাইনে ফোন দিলে ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করে। এর পর গ্রামের লোকজন অহতদের উদ্ধার করে সাভার সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন।এদের মধ্যে ইমরান হোসেনের অবস্থা খারাপ হলে তাকে ঢাকা মেডিকেলে পাঠান।পরে ইমরানের স্বজনরা তাকে সাভার একটি প্রাইভেট হাসপালে ভর্তি করেন।এদিকে সোনিয়া ও মামুনকে এনাম মেডিকেলে ভর্তি করেন বলে জানাগেছে। প্রত্যক্ষদর্শী কারখানার শ্রমিক ও মালিক হযরত আলী জানান,বুধবার বিকেলে কারখানায় কাজ করার সময় মামুনের মেশিন হঠাৎ নষ্ট হয়ে যায়।তখন শ্রমিক হায়দার বলেন তোমার কাছে যে মেশিন যায় সেই মেশিন তুমি নষ্ট করে ফেলো এ কথা বলার শেষ না হতে মামুন এক পর্যায়ে মালিকের ভাই হায়দারকে অকথ্য ভাষায় গালাগালি করতে থাকে মামুন।এসময় হায়দার প্রতিবাদ করলে মামুন হায়দারকে ঘুষি মারে এই নিয়ে দুই জনের মধ্যে মারামারি হয়।পরে মামুনের বোন সোনিয়া গিয়ে ভাই মামুনের সাথে হায়দারকে মারতে থাকে।খবর পেয়ে হায়দারের বড় ভাই ইমরান এগিয়ে আসলে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ শুরু হলে মামুন ও তার বোন সোনিয়া তাদের হাতে থাকা কাঁচি দিয়ে ইমরানের মাথায় ও বুকে,পিঠে আঘাত করলে ইমরান সজ্ঞা হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়।পরে স্থানীয় লোকজন এসে তাদেরকে উদ্ধার করে সাভার সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করে।এর পর পরিস্থিতি খারাপ হলে এলাকার লোকজন ৯৯৯ লাইনে ফোন করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিবেশ শান্ত করে। এক পর্যায় শ্রমিক মামুনকে পুলিশ আটক করে।মালিক পক্ষ ও সাইফুল ইসলাম মামুনকে চিকিৎকার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়। এই বিষয়ে সাইফুল ইসলাম বলেন,কারখানায় মারামারির পর উভয় পক্ষই আমাকে ডাকলে আমি সেখানে উপস্থিত হয়।উভয় পক্ষইকে মিমাংসার কথা বললে তারা রাজি হয়।আমি বল্লাম চিকিৎসা করে সুস্থ হওয়ার পর মিমাংসা করে দেওয়া হবে। উভয় পক্ষ দরিদ্র হওয়ায় চিকিৎসার টাকা আমি দিয়েছি। এলাকার লোকজন আমাকে মিমাংসার কথা বলেছিলো এখন আর সম্ভব নয়,শুনেছি উভয় পক্ষই থানায় অভিযোগ করেছে। যদি হ্যারা মিমাংসায় না আসে তাহলে মামলা করবে।’ এই বিষয়ে পরিদর্শনকারী ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এ এস আই) নূর ইসলাম বলেন,ওই ফ্যাক্টরিতে শ্রমিকদের মধ্যে একটা ঝামেলা সৃষ্টি হয়। পরে ট্রিপল লাইনে ফোন পাইয়া আমি ওখানে যায়। যাওয়ার পরে দেখলাম উভয়পক্ষই মারামারি করছে। পরে ওখানকার এলাবাসি ও সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি ওসি স্যাররে সাথে কথা বলে উভয়পক্ষের সাথে মিমাংসার করে দিবে বলে। সেই কথা মতে সেখান থেকে আমি চলে আসি। পরে জানলাম দুই পক্ষই নাকি থানায় অভিযোগ করেছে।