ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে পটুয়াখালীর লোহালিয়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. জুয়েল মৃধা ও তাঁর সমর্থকদের ওপর হামলার অভিযোগ উঠেছে।আওয়ামী লীগ-মনোনীত প্রার্থী মো. কবির হোসেনের কর্মী-সমর্থকেরা এ হামলা চালিয়েছেন বলে দাবি করছেন জুয়েল মৃধা। গতকাল (২৯ অক্টোবর)শুক্রবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে হামলা করলে হামলায় জুয়েল মৃধা সহ অন্তত আর ১০ জন আহত হয়েছে। জুয়েল মৃধা সহ আহতদের পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
জুয়েল মৃধা বলেন তিনি তার নির্বাচনী এলাকায় জনসংযোগ শেসে কর্মী-সমর্থক দের নিয়ে শহরের দিকে লোহালিয় খেয়াঘাটে পৌঁছানোর পর নৌকার কর্মীরা লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর আকস্মীক হামলা চালায়। আতে তার ১০ জন কর্মী সমর্থক গুঁড়তর আহত হয়েছেন। পরে হামলাকারীরা চলে গেলে স্থানীয় লোকজনের সহায়তায় আহত ব্যক্তিরা পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন। তাঁর অভিযোগ, নৌকার প্রার্থীর ইন্ধনে তাঁর কর্মীরা এ হামলা চালিয়েছেন।
জুয়েল মৃধা তাঁর সমর্থকদের নিয়ে লোহালিয়া ঘাটসংলগ্ন এলাকায় নৌকা প্রতীকের নির্বাচনী ক্যাম্পে ঢোকেন। এ সময় তিনি নৌকার সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখিয়ে নির্বাচনী ক্যাম্প ভাঙচুর শুরু করলে স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে বাগ্বিতণ্ডা হয়। একপর্যায়ে স্থানীয় লোকজনের ধাওয়ায় জুয়েল মৃধারা পালিয়ে যান। জুয়েল মৃধা নির্বাচনে তাঁর নিশ্চিত পরাজয় জেনে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের ভয়ভীতি দেখাতে এভাবে সহিংসতা সৃষ্টি করছেন বলে অভিযোগ করেন কবির হোসেন।
গতকাল সন্ধ্যায় খেয়াঘাট এলাকায় নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের দুই পক্ষের মধ্যে স্লোগান দেওয়াকে কেন্দ্র করে হাতাহাতির খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে দাবি করেন লোহালিয়া ইউনিয়নে দায়িত্বরত বিট পুলিশিং কর্মকর্তা ও সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) বিপুল চন্দ্র। পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, লোহালিয়া এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।তবে এখন পর্যন্ত থানায় কোনো লিখিত অভিযোগ আসেনি।আসলে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলে তিনি জানান।