ঘাস ও বাউন্সের উইকেটে বাংলাদেশ দলকে খেলতে হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার দুই ফাস্ট বোলার কাগিসো রাবাদা ও আনরিক নর্কিয়ার বিপক্ষে।
বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত এই সবুজ বিপ্লবের মুখোমুখি হতে হয়নি বাংলাদেশকে। শারজা ও দুবাইতে উইকেট কিছুটা মন্থরই ছিল। তার আগে ঘরের মাঠে খেলা দুটি সিরিজে বল ঘুরেছে ডানে–বাঁয়ে
ব্যাট করে বাংলাদেশ দল অলআউট ৮৪ রানে। দক্ষিণ আফ্রিকা সেই রান তাড়া করেছে ১৪তম ওভারে ৬ উইকেট হাতে রেখে।
সুপার টুয়েলভ পর্বের চতুর্থ ম্যাচে এসে এমন ধাক্কা খাওয়ার পর বাংলাদেশ দলের উপলব্ধি, ঘরের মাঠে যদি আরও ভালো উইকেটে খেলা যেত, তাহলে হয়তো বিশ্বকাপে ফলটা আরও ভালো হতে পারত
তা না হলে ফাস্ট বোলার তাসকিন আহমেদ বিশ্বকাপে ভালো করছেন কীভাবে? ঘরের মাঠে অস্ট্রেলিয়া ও নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলা ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের মধ্যে মাত্র একটিতে খেলেছেন তাসকিন। তাসকিনের গতি বেশি, এ কারণে মন্থর উইকেটে তিনি কার্যকরী হবেন না—এই ব্যাখ্যায় তাসকিনকে খেলায়নি বাংলাদেশ দল।
সেই তাসকিনই আজ ৪ ওভারে মাত্র ১৮ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন। ম্যাচ শেষে ব্যাটিং ব্যর্থতার দিনে সেই তাসকিনই সংবাদ সম্মেলনে এসেছেন দলের হারের ব্যাখ্যা দিতে
সেখানে তিনি ঘরের মাঠের উইকেটের দিকেই আঙুল তুললেন। তিনি বলেছেন, ‘এখানকার উইকেট অনেক স্পোর্টিং। মিরপুরের চেয়ে অনেক ভিন্ন। ভবিষ্যতে বাংলাদেশে আরও ভালো উইকেটে খেলা হলে আমাদের বোলিং-ব্যাটিং দুটিই আরও উন্নত হবে। যত ভালো উইকেটে খেলা হবে, বোলারদের তত চ্যালেঞ্জ বাড়বে। এতে আমাদের সবারই আরও উন্নতি হবে। ভবিষ্যতে ভালো উইকেটে খেললে ফলাফল যা–ই হোক, বড় টুর্নামেন্টে সুবিধা হবে আশা করছি
আজ তাসকিনের সংবাদ সম্মেলনে ভবিষ্যতের কথাটাই ঘুরে ফিরে আসছিল। ৮৪ রানে অলআউট হওয়ার পর ম্যাচ নিয়ে যে তেমন কিছুই বলার থাকে না। তাসকিনও আগামী ৪ নভেম্বর শেষ ম্যাচে অস্ট্রেলিয়াকে হারানোর আশার কথা শোনালেন।
তাসকিন বলেছেন, ‘সহজ দুটি ম্যাচ হেরে যাওয়ায় সবকিছু আমাদের বিপক্ষে মনে হচ্ছে। ব্যাটিং ভালো করিনি কিছু ম্যাচে, এ জন্য অনেক কিছু মনে হচ্ছে। যেটা চলে গেছে, ওটা তো ফেরত আনতে পারব না। সামনে একটা ম্যাচ আছে, যতটা ভালো খেলা যায়..দেশকে একটাও যদি জয় উপহার দিতে পারি। এটাই আমাদের জন্য অনেক। সামনের দিনগুলো যাতে ভালো যায়, সেই চেষ্টা করছি।