আগামী ১১ নভেম্বর ইউপি পরিষদের নির্বাচনকে সামনে রেখে নির্বাচনী মাঠে সক্রিয় রয়েছে আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তারা দিন রাত পরিশ্রম করে ইউপি নির্বাচন একটি অবাধ নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দেওয়ার জন্য সব সময় নির্বাচনী এলাকা টহল দিয়ে যাচ্ছে। তারই সুবাধে ঢাকার ধামরাই উপজেলার বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বিএনপি বাজারের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছে নৌকার প্রার্থীর অফিসের পাশ থেকে বাঁশের লাঠি উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।এছাড়া উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা বালিয়াপাড়া গ্রাম থেকে নৌকার প্রার্থী মোঃ আব্দুল কাদের মোল্লাকে জনতার বিক্ষোভের মুখ থেকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার (৫নভেম্বর) দিনগত রাতে বিএনপি বাজারের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কাছ থেকে বাঁশের লাঠি উদ্ধার করা হয়।এদিকে গাংগুটিয়া ইউনিয়নের জালসা বালিয়াপাড়া গ্রাম থেকে জনতার হাত থেকে নৌকার প্রার্থী আব্দুল কাদের মোল্লাকে রক্ষা করেছে পুলিশ। পুলিশ সুত্রে জানাযায়, গতকাল বাইশাকান্দা ইউনিয়নে টহল দেওয়ার সময় গোপন সংবাদের ভিত্তিত্বে দেখতে পাই বাইশাকান্দা বিএনপি বাজার সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশে অনেক গুলি বাঁশের লাঠি।পরে সেই লাঠি গুলি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে।তবে বাঁশের লাঠি গুলি কে রেখেছে সেখানে,সেটা এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এই বিষয়ে বাইশাকান্দা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান বি,এম,মাসুদ রানা বলেন, আমি বর্তমান চেয়ারম্যান আমার জন সমর্থন দেখে নৌকার প্রার্থী মিজানুর রহমানের মাথা নষ্ট হয়েছে। আমার জয় নিশ্চিত দেখে নৌকার প্রার্থীর কর্মীরা আামার কর্মীদের উপর হামলা চালানোর জন্য তাদের ক্যাম্পের পাশে অনেক গুলি বাঁশের লাঠি রেখে দিয়ে দিয়েছে। আমি ধন্যবাদ জানায় আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর লোকজনদের তাদের তৎপরতায় অভিযান চালিয়ে লাঠিগুলি উদ্ধার করেছে। এই বিষয়ে নৌকার প্রার্থী সাবেক চেয়ারম্যান এবং ঢাকা জেলা আওয়ামী-লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক মোঃ মিজানুর রহমানকে তার মুঠোফোনে একাধিকবার ফোন দিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরির্দশক (এস আই) মোঃ রবিউল ইসলাম বলেন, ধামরাই উপজেলার বিএনপি বাজারের সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পাশ থেকে অনেক গুলি বাঁশের লাঠি দেখতে পেয়ে সেগুলি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসি। অপর দিকে গাংগুটিয়া ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী সোলাইমান বলেন, গত কয়েকদিন ধরেই নৌকা প্রার্থীর লোকজন আমাদের অফিস ভাঙচুর ও সব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলার হুমকি দিচ্ছিলো।আজকে বিকেলের পর থেকেই খবর পাচ্ছিলাম, তারা কাওয়ালীপাড়া থেকে বারবাড়িয়া পর্যন্ত ছিপের মাথায় কাস্তে লাগিয়ে আমাদের পোস্টার ছিঁড়ে দিচ্ছিলো।কারণে আমরা আজ অন্য কোথাও প্রচারণা না করে এলাকায় অবস্থান নেই। ৮টার দিকে নৌকার প্রার্থী কাদের মোল্লা৩০-৪০ টার মতো মোটরসাইকেলসহ আমাদের এলাকা আসে।এক পর্যায়ে আমাদের অফিসের সামনে চলে আসলে সেখানে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি তৈরি হয়।পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা ও অস্ত্রসহ আসায় ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী তাদেরকে ঘিরে ফেলে। সেসময় তাদের কাছে দেশীয় অস্ত্রও ছিলো। পরে আমরা তাদেরকে জনরোষ থেকে বাঁচাতে সরিয়ে বালিয়াপাড়া জালসা চান মিয়ার মোড়ে নিয়ে যাই।এরপর পুলিশ এসে তাদেরকে হেফাজতে নেয়। এ বিষয়ে জানতে আনারস প্রতীকের স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী সাবেক মেম্বার মফিকুল ইসলাম রিসিফ করে বলেন,চেয়ারম্যান সাহেব তো ঘুমিয়ে পড়েছেন। কাল সকালে ফোন করলে ভালো হয়।’পরে তার কাছে ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে মফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা এক বছরের ওপরে হয় ১৪ মাস আমরা অফিস নেই। বালিয়াপাড়া জালসায়। সেখানে সবাই আসে, চা পান খায়। নৌকার ক্যাম্প ১০০ গজের ভেতরে অফিস নিছে।আজকে রাতের দিকে ৪১ টা মোটরসাইকেলসহ চেয়ারম্যান প্রার্থী কাদের মোল্লারা আসে। তাদের কাছে হাতুড়ি, রড ছিলো।জায়গাটা আমাদের গ্রামের ভেতরে।তারা সেখানে এসে আজেবাজে কথা বলছিলো।তখন আমরা ওসি ও আইসিসহ এসআইকে জানাই। কারণ দিনে ইউনিয়ন জুড়ে আমাদের সব পোস্টার ছিঁড়ে ফেলা নিয়ে আমাদের লোকজন ক্ষুব্ধ ছিলো। একপর্যায়ে আমাদের ছেলেপেলেরা উত্তেজিত হয়ে যায়। পরে পুলিশ তাদেরকে সরিয়ে দেয়। ঘটনার কিছুক্ষণ পরে আবার ৫-৭ টা মোটরসাইকেল এসে উত্তেজনা তৈরি করে। এই খবর শুনে সাভার সার্কেল এসপি, ওসিসহ পুলিশ কর্মকর্তারা এসে পরিস্থিতি নিয়তন্ত্রনে আনে।। এ বিষয়ে জানতে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী আব্দুল কাদের মোল্লাকে বারবার ফোন করলেও তিনি কল ধরেননি।পরে কল ব্যাক করে পরিচয় জানতে পেরে ফোন কেটে দেন। এ বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) আরাফাত উদ্দিন বলেন, দুইটা অফিস পাশাপাশি। সেখানে দুই পক্ষের অন্তত ৫-৭শ মানুষ ছিলো। তখন পাল্টাপাল্টি স্লোগান হচ্ছিলো। পরে আমি গিয়ে দুই পক্ষকে দুই দিকে পাঠিয়ে দেই। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।এছাড়া কোন পক্ষ কোন অভিযোগও করেনি।