আসন্ন ১১ নভেম্বর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনকে কেন্দ্র করে ঢাকার ধামরাইয়ে বাইশাকান্দা ইউনিয়নের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম মাসুদ রানার গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্বাচনী প্রচারণার সময় তার প্রতিপক্ষ নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী মিজানুর রহমান মিজানের কর্মীরা তার ওপর হামলা করেছেন অভিযোগ করেছে বিএম মাসুদ। গতকাল সোমবার (৮নভেম্বর) দিনগত রাত ১২ টা ৩০ মিনিটে বাইশাকান্দা ইউনিয়নের খাগাইল গ্রামে নির্বাচনী প্রচার শেষে বাড়ী ফেরার পথে হামলার ঘটনা ঘটে। বিএম মাসুদ রানা বাইশাকান্দা ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসাবে ঘোড়া মার্কায় নিয়ে নির্বাচন করতেছে। তিনি অভিযোগ করে বলেন , সোমবার রাতে প্রচারণা শেষ করে তিনি যখন বাড়ি ফিরছিলেন, তখন মিজানুর রহমান মিজানের কর্মীরা তার গাড়ির সামনে বেরিকেট দেয়।পরে হামলা করে তার গাড়ি ভাংচুর করে। এতেগাড়ীতে থাকা আমার চার কর্মী আহত হয়। তাদেরকে এলাকার লোকজন উদ্ধার করে হাসপাতালে ভর্তি করেন। মাসুদ রানা হামলার বিষয়ে বলেন,
আমার গাড়ি প্রচারণা শেষে খাগাইল এলাকায় পৌঁছালে নৌকার প্রার্থী মিজানুর রহমান ও তার লোকজন ১০-১২টি মোটরসাইকেল নিয়ে গাড়ির গতিরোধ করে। একপর্যায়ে লাঠিসোটা নিয়ে ব্যাপক ভাঙচুর করে এবং চালককে বেদম পিটিয়ে জখম করে। এসময় আমি দৌঁড়ে পালিয়ে গিয়ে প্রাণে রক্ষা পাই। পরে এলাকাবাসীর সহায়তায় গাড়ির ড্রাইভারকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যাই। চেয়ারম্যান প্রার্থী বিএম মাসুদ রানা ও এলাকাবাসীর অভিযোগ, ‘মিজানুর রহমান দুইবার ধামরাই উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে পরাজিত হয়েছেন। গত ইউনিয়ন পরিষদের উপ-নির্বাচনেও বাইশাকান্দা ইউনিয়নে নৌকা প্রতীক পেয়ে তিনি নির্বাচন করেননি। এবার ফের নৌকা প্রতীক নিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অংশ নিয়েছেন। তিনি এবারও পরাজিত হবেন বুঝতে পেরেই আমার ওপর হামলা করে বিজয় ছিনিয়ে নিতে চাচ্ছে। আমি নির্বাচন কমিশনের কাছে এবং পুলিশ প্রশাসনের কাছে এ হামলার বিচার চাই। তাদের কাছে মৌখিক অভিযোগও করেছি। মিজানুর রহমান মিজান এ অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ মিথ্যা। ধধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আতিকুর রহমান বলেন, ‘রাতে হামলার বিষয়টি শোনার পরই পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে। লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে