ঢাকার ধামরাই উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নে নির্বাচনী পরবর্তী সহিংসতা জেরে রাতের আধারে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে মোঃ রাতুল(৩৫)নামে একজনকে হত্যা করা হয়েছে।তার ভাই অনুর্বকে গুরুতর আহত অবস্থা সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
গতকাল বৃহস্পতিবার(১১নভেম্বর) দিনগত রাতে নির্বাচনের ফলাফল ঘোষনা করার পর রাত ১০ ঘটিকার সময় বরাকৈর গ্রামের আপন দুই ভাই রাতুল ও অনুর্বকে ধারালো অন্ত্র দিয়ে কুপিয়ে হত্যা এবং আহত করার ঘটনা ঘটে। নিতহ রাতুল কুল্লা ইউনিয়নের বরাকৈর গ্রামের হাজী মোঃ আব্দুর রশিদের ছেলে।আহত অনুর্ব রাতুলের ছোট ভাই। এলাকাবাসি সুত্রে জানাযায়, গতকাল বৃকস্পতিবার ধামরাই উপজেলার ১৫ ইউনিয়নে ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।এতে কুল্লা গ্রামের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী চশমা প্রতীক নিয়ে প্রতিদ্বন্দীতা করে পরাজিত হয়। পরে হীরা নদী কুল্লা গ্রামের স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী মোঃ সোলায়মান এর সমর্থক পাল্লী গ্রামের মোঃ ইব্রাহীমের ছেলে সুজনের বাহিনী পুর্ব শত্রতার জেরে বরাকৈর বরাকৈর গ্রামের হাজী আব্দুর রশিদের ছেলে রাতুল ওঅনুর্বকে ধারালো অন্ত্র দিয়ে কুপিয়ে দুই ভাইকে আহত করে। পরে গ্রামের লোকজন তাদের উদ্ধার করে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত ডাক্তার রাতুলকে মৃত বলে ঘোষনা করেএবং রাতুলের ভাই অনুর্বকে আহত অবস্থায় ভর্তি করা হয়। অপর দিকে সূয়াপুর ইউনিয়নের নির্বাচনের জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে কুরঙ্গীচর এলাকায় মেম্বার প্রার্থী মোঃ গোলাম মোস্তফা (মোরগ মার্কা) তার প্রতিদ্বন্দী প্রার্থী মোঃ মিজানুর রহমান মিজান মেম্বার প্রার্থী (টিউবওয়েল মার্কা) মধ্যে নির্বাচনের জয়-পরাজয়কে কেন্দ্র করে দুই মেম্বার প্রার্থীর মধ্যে মারামারি সময় একই গ্রামের বৃদ্ধ মোঃ নাসিম উদ্দিন মোল্লা (৬৫) ঘটনাস্থলে মারা যায়। এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এস আই) মোঃ আব্দুস সালাম বলেন, পুর্ব শুক্রতার জেরে রাতুল ও তার ভাই অনুর্বকে কুপিয়ে জখম করে। পরে হাসপাতলে নেওয়ার পথে রাতুল মারাযায় এবং অনুর্বকে আহত অবস্থায় এনাম মেডিকেলে ভর্তি করা হয়েছে। এছাড়া উপজেলার সূয়াপুর ইউনিয়নে দুই মেম্বারের জয়পরাজয়কে কেন্দ্র করে মারামারির ঘটনায় মোঃ নাসিম উদ্দিন মোল্লা ঘটনাস্থলে মারা যায়। এই ঘটনায় ধামরাই থানায় পৃথক পৃথক দুটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।