ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ’ শক্তিশালী হয়ে উপকূলের দিকে অগ্রসর হয়েছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের কাছে সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে। এজন্য দেশের সমুদ্রবন্দরগুলোতে ২ নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলেছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আজ শনিবার সকালে বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে (ক্রমিক নম্বর-৭) এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তর।বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, পশ্চিম-মধ্য বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থানরত ঘূর্ণিঝড় ‘জাওয়াদ আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হয়ে একই এলাকায় ১৬.১ ডিগ্রি উত্তর অক্ষাংশ এবং ৮৫.৮ ডিগ্রি পুর্ব দ্রাঘিমাংশে অবস্থান করছে। এটি আরও উত্তর-উত্তরপশ্চিম দিকে অগ্রসর হতে পারে।
ঘূর্ণিঝড়টি শনিবার সকাল ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১০৩০ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ৯৯৬ কি.মি. দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৮৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ৮৯৫ কি.মি. দক্ষিণ-দক্ষিণপশ্চিমে অবস্থান করছিল। এটি আরও অগ্রসর হতে পারে।ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কিলোমিটারের মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটে সাগর খুবেই উত্তাল রয়েছে।উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারসমূহকে উপকূলের কাছাকাছি থেকে সাবধানে চলাচল করতে বলা হয়েছে। তাদেরকে গভীর সাগরে বিচরণ না করারও পরামর্শ দিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে খুলনা, বরিশাল এবং পটুয়াখালী অঞ্চলসমূহের উপর দিয়ে পূর্ব ও উত্তর-পুর্ব দিক দিয়ে ঘণ্টায় ৪৫/৬০ কি.মি. বেগে দমকা বা ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে সেই সাথে বৃষ্টি ও বজ্রবৃষ্টিও হতে পারে।এসব এলাকার নদীবন্দরসমূহকে ১ নম্বর (পুন.) ১ নম্বর সতর্ক সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে।