ঢাকার ধামরাইয়ের সুজন হত্যা মামলায় জামিনে আসা আসামী মোঃ আসলাম (৩৭) কে আটক করে হাত বেঁধে মারধর করেছে মামলার বাদীপক্ষের লোকজন ।পরে পুলিশ ঘটনা স্থানে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে এবং তার জামিনের সত্যতা নিশ্চিত করে আসামির স্ত্রী নারগিস আক্তারের জিম্মায় তাকে ছেড়ে দেয়া হয়।
আজ বুধবার (৮ডিসেম্বর) সকালে উপজেলার জয়পুরা এলাকায় বাদী পক্ষের লোকজন শুভযাত্রা গাড়ি থেকে টেনে হিচরে বের করে আসলামকে বেদম মারধর করা হয়। আসলাম চলতি মাসের ৫ তারিখে হাইকোর্ট থেকে জামিন নিয়ে এসেছেন। জানাযায়,আসলাম তার ঘরের জন্য কালামপুর বাজার থেকে টিনসহ বিভিন্ন মালামাল ক্রয় করার জন্য সকালে জয়পুরা বাসস্ট্যান্ডে এসে কালামপুর বাজারের যাওয়ার জন্য শুভযাত্রা পরিবহন বাসে উঠার সময় বাদী পক্ষের লোকজন তাকে বাস থেকে টেনেহিঁচড়ে নামিয়ে হাত বেঁধে মারধর করেন।পরে পরিস্থিতি অনুকূলের বাইরে চলে গেলে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেয়।পরে পুলিশ গিয়ে আসলামকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।আসামির জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করার পর তাকে তার স্ত্রীর জিম্মায় দিয়ে দেন পুলিশ। নিহত সুজনের বোন নুরজাহান বেগম বলেন,আসলাম আমার ভাইয়ের হত্যাকারী।সে তিন দিন আগে হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসেই আমার বৃদ্ধ বাবা সোনা মিয়া(৬৫) কে হুমকি দেয়। এখন আমরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি।তাই আজকে সকালে গাড়িতে করে যাওয়ার সময় আমরা আসলামকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করি। আসামী আসলামের ভগ্নীপতি মোঃ আবুল হোসেন অভিযোগ করে বলেন, আসলাম ৩ দিন আগে হাইকোর্ট থেকে জামিনে এসেছে।কিন্তু আজকে সকালে তিনি বাড়ি তৈরির মালামাল ক্রয় করতে কালামপুর বাজারে যাওয়ার সময় নিহত সুজনের বাড়ির লোকজন তাকে গাড়ি থেকে টেনে হিচরে নামিয়ে তার হাত-বেধেঁ বেদম মারধর করেন।পরিস্থিতি অনুকূলে না থাকায় লোকজন থানায় ফোন দিলে পুলিশ তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসেন।এখন আসলামের পরিবার তাকে নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।যে কোন সময় আসলামের উপর আবারও চড়াও হতে পারে। এ বিষয়ে ধামরাই থানার পুলিশ পরিদর্শক(অপারেশন) নির্মল চন্দ্র দাস বলেন, হত্যা মামলার আসামী আসলাম হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের জামিনে এসেছে।এই সময়ের মধ্যে তাকে কিছু বলা যাবে না। বাদী পক্ষের তোপের মুখে থেকে তাকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।আসামী আসলাম জামিনে থাকায় তাকে সসম্মনে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, উপজেলার কুল্লা ইউনিয়নের লাড়ুয়াকুন্ডু এলাকার দুলালুর রহমানের স্ত্রী সামিয়া বেগমের সাথে সুজনের পরকীয়ার সম্পর্ক ছিল।কিন্তু কোন কারণে তাদের সম্পর্কের অবনতি হলে সামিয়া বেগম সুজনকে হত্যা করে লাশ সানোড়া ইউনিয়নের বাটুলিয়া এলাকার একটি জঙ্গলে পরিপূর্ণ একটি উঁচু ভিটায় ফেলে রাখেন। এ ঘটনার সাথে জড়িত সামিয়া বেগম গ্রেফতার করে পুলিশ।সামিয়া ও আসলামকে আসামী করে একটি দায়ের মামলা করেন।সেই মামলায় জামিনে আসেন আসামী আসলাম।