পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি (পিসিজেএসএস) সন্তু গ্রুপের এক ক্যাডারকে গুলির পর অপহরণকে কেন্দ্র করে বান্দরবানে রোয়াংছড়ি উপজেলায় ২ সন্ত্রাসী গ্রুপের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনায় চারজন নিহত হয়েছে বলে একাধীক সূত্র জানায়।
গতকাল রবিবার (৬ মার্চ) দুপুরে বান্দরবানের পুলিশ সুপার জেরিন আকতার চারজনের গুলিবিদ্ধ মরদেহ উদ্ধারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, নদীর পাড়ে ৪ মরদেহ পড়ে থাকার খবর জানতে পেরে পুলিশের একটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।
সেনাবাহিনীর সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বিশৃংখলা ঠেকাতে ঘটনাস্থলে সেনাবাহিনীর একাধিক টিমকে পাঠানো হয়েছে। তারা বলছেন, শনিবার দুপুর ৩টার দিকে শংখ নদীর কানাপাড়া ঘাটের কাছাকাছি একটি পয়েন্টে দুইপক্ষের গোলাগুলি হয়। তারা পালংক্ষ্যং এর কাছাকাছি নদীর পাড়ে ৪টি লাশ দেখতে পায়। তবে ঘটনাস্থল রুমা না রোয়াংছড়ি উপজেলার মধ্যে তা নিশ্চিত না হওয়ায় লাশগুলো এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, শনিবার দুপুর ১২ টার দিকে রোয়াংছড়ি উপজেলার তারাছা নোয়াপাড়ায় কমব্যাট পোশাক পড়া একটি সশস্ত্র গ্রুপ পিসিজেএসএস সন্তু গ্রুপ ক্যাডার উনুমং মারমাকে (৪৫) গুলি করে আহত করে। এরপর তাকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়ার সময় পালংক্ষ্যং এলাকায় ওত পেতে থাকা পিসিজেএসএস এর একটি সশস্ত্র গ্রুপ অপহরণকারীদের ওপর গুলি ছুঁড়ে। এসময় ইঞ্জিন বোট থেকেও পাল্টা গুলি চলে। পরে ঘটনাস্থলের কাছাকাছি নদীর পাড়ে ৪টি লাশ পড়ে থাকতে দেখা যায়।