ঢাকার ধামরাইয়ে হাতকোড়া গ্রামে নেশার টাকা না পেয়ে ঘরের ভিতরে স্ত্রী ফাতেমা(২২) জবাই করে হত্যা করেছে স্বামী। হত্যা করার পর দৌড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ঘাতক স্বামী তামিমকে হাতে নাতে আটক করেছে এলাকার লোকজন।
গতকাল (৭মার্চ) দুপুরে ধামরাই উপজেলা গাংগুটিয়া ইউনিয়নের উত্তর হাতকোড়া গ্রামে এমন ঘটনাটি ঘটেছে। আটক তামিম হাতকোড়া গ্রামের আব্দুল বারেকের ছেলে। নিহত ফাতেমার বাড়ী সিলেট সুনামগঞ্জ শরিফগঞ্জ গ্রামের হাইজুলের মেয়ে। গত তিন বছর আগে ঘাতক স্বামী তামিমের সাথে তার বিয়ে হয়। তাদের ঘরে ইয়াসিন নামে ৬ মাসের একটি পুত্র সন্তান রয়েছে।
এলাকাবাসি সুত্রে জানাযায়, দুপুরে ফাতেমা ওস্বামী তামিম হাসপাতাল থেকে বাড়ীতে আসে। আসার পর তামিম তার বউয়ের কাছে নেশা করার জন্য টাকা চায়। কিন্তু স্ত্রী ফাতেমা সে টাকা না দিয়ে রান্না করার জন্য পাতিল আনতে ঘরে যায়। সেই সময় তামিম ঘরের দরজা বন্ধ করে স্ত্রী ফাতেমাকে ঘরের ভিতরে থাকা ধারালো দা দিয়ে স্ত্রী ফাতেমার গলা কেটে ফেলে। পরে ঘর থেকে বেড়িয়ে দৌড় দিলে তার চাচা ঐ অবস্থা দেখে চিৎকার দিয়ে তামিমের পিছনে দৌড়িয়ে এলাকার লোকজনের সহায়তায় তামিমকে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রেখে ধামরাই থানায় খবর দেয়।
পুলিশ এসে তামিমকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এই বিষয়ে তামিমের চাচা মালেক বলেন, আমি ঘরের ভিতরে শুয়ে ছিলাম। এই সময় তামিমের ঘরে দুই জনের মধ্যে ঝগড়ার শদ্ধ পেয়ে এগিয়ে যাই। গিয়ে দেখি তামিমের বউ মাটিতে পড়ে গড় গড় শদ্ধ হচ্ছে।তখন তামিম পালিয়ে যাওয়ার জন্য দৌড় দেয়। এই সময় আমি তার পিছনে দৌড়িয়ে গিয়ে তামিমকে আটক করে গাছের সাথে বেঁধে রাখি। এই বিষয়ে ধামরাই থানার ওসি(অপারেশন) নির্মুল কুমার সাহা বলেন, স্বামীর হাতে স্ত্রী হত্যার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে স্বামী তামিমকে আটক করে থানায় নিয়ে আসি। লাশ ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।