ঢাকার ধামরাইয়ে সোমবাগ ইউনিয়নের দেপসাই গ্রামের এক প্রবাসীর জমি ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসী দিয়ে জোর করে দখল নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে একই গ্রামের মোঃ ফরহাদ হোসেনের বিরুদ্ধে।
এমন ঘটনাটি ঘটেছে ধামরাই উপজেলার সোমবাগ ইউনিয়নের পশ্চিম দেপসাই গ্রামের মৃত হযরত আলীর ছেলে প্রবাসী মোঃ দেলোয়ার হোসেন (শুকুর)এর জমির মধ্যে। এই নিয়ে ধামরাই থানায় একাধিকবার অভিযোগ করেও কোন কাজে আসেনি বলে জানিয়েছে শুকুর। ফরহাদ হোসেনের বাড়ী ধামরাই উপজেলার সোমবাগ ইউনিয়নের দেপসাই নয়াপাড়া গ্রামের লাবু বেপাড়ীর ছেলে। সরেজমিনে গিয়ে জানাযায়, দেপসাই গ্রামের মাতাব্বরদের নিয়ে গ্রামের মধ্যে এক বিচারে বসেন।সেখানে বিজ্ঞ দুই আইনজীবি দিয়ে কাগজ পত্র দেখানো হলে সেই বিচারেরও ফরহাদ কোন জমি পায়না বলে জানান আইনজীবিগণ। কিন্তু ফরহাদ হোসেন সাভার ধামরাইয়ের বিভিন্ন জায়গা থেকে সন্ত্রাসী ভাড়া করে দেপাসাই ও দত্তখোলা মৌজার ৮৫ শতাংশ জায়গা জোর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে দখল নেওয়ার চেষ্টা করে ফরহাদ।
এরপর এলাকার লোকজন দৌড়িয়ে গেলে ভাড়া করা লোকজন নিয়ে সেখান থেকে সরে পরে। এছাড়া একই গ্রামের বিদবা হনুফা বেগমের ১৩ শতাংশ জায়গা ৬ লক্ষ টাকা দাম ধরে নিয়ে পরে বিদবা হনুফা বেগমকে ৪ লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়ে বাকি টাকা নিজেই খেয়ে ফেলেছে। এর পর দেপসাই পূর্ব পাড়া সাইদুর রহমানের ৪০শতাংশ জায়গা অস্ত্র(পিস্তল) দেখিয়ে জোর করে দখল করা চেষ্টা করে। দেপসাই উত্তর পাড়া ১২ বছরের একটি মেয়ে ধর্ষণ হয়। শামছুল হককে আসামী করে থানায় মামলা করেন। পরে সেই মামলা মিমাংসা করে দেওয়ার কথা বলে শামছুল হকের স্ত্রীর কাছে দুই লক্ষ টাকা দাবি করেন। পরে শামছুল হকের স্ত্রীর থেকে ৮০ হাজার টাকা নেয়। এই ভাবে নিজের প্রভাব খাটিয়ে মানুষের কাছ থেকে জোর করে জায়গা জমিসহ টাকা পয়সা নেওয়ার একাধিক অভিযোগ রয়েছে ফরহাদের বিরুদ্ধে। এই বিয়য়ে দেলোয়ার হোসেন (শুকুর) বলেন, ফরহাদ আমার দেপসাই ও দত্তখোলা মৌজার ৮৫ শতাংশ জায়গা বিভিন্ন ভাড়াকরা সন্ত্রাসী দিয়ে দখল করার চেষ্টা করছে। কিন্তু এই বিষয়ে আমি একাধিক বার থানায় জিডি ও অভিযোগ করে কোন কাজ হয়নি।
এরপর আমাদের গ্রামে মাতাব্বরদের নিয়ে গ্রামে বসেছিলাম। কিন্তু ফরহাদ গ্রামের বিচার ও সেমানে নাই। এই বিষয়ে বিদবা হনুফা বেগম বলেন, আমার স্বামী মারা গেছে অনেক আগে। আমার কোন ছেলে সন্তান নেই, থাকার মধ্যে দুটি মেয়ে আছে তাদের ও বিয়ে হয়ে গেছে। আমি কোন রকমে সংসার চালায়। ফরহাদ আমার ১৩ শতাংশ জায়গা নিয়ে ৬ লক্ষ টাকা দেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু ফরহাদ আমার ৪লক্ষ ২০ হাজার টাকা দিয়েছে। বাকি টাকা দেয়নাই। মঙ্গল আলী নামে এক কৃষক বলেন, আমি সাইদুর রহমানের ৪০ শতাংশ জায়গা পত্তন রেখে চাষ করি। কিন্তু ফরহাদ সেই জমি জোর করে দখল করতে আমাকে পিস্তল দেখিয়ে বলে জমি ছেড়ে না দিলে পিস্তল দিয়ে গুলি করে মেরে ফেলবো।
এই বিষয়ে ফরহাদ হোসেন বলেন, আমি আমার নিজের জমি চাষ করে খায়।আমি কারো জমি দখল করি নাই। এছাড়া কোন সন্ত্রাসী দিয়ে জমি দখল করবো কেন। আমার নানার জমি আমার মা পেয়েছে সেই জমি বুঝে নেওয়ার চেষ্টা করছি