দেশের প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেছেন, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন করতে সবার অংশগ্রহণ জরুরী। তবে এটা সত্য আমাদের সাহস থাকতে হবে। সাহসের পেছনে থাকতে হবে সততা। সততা থাকলে ভালো নির্বাচন করা সম্ভব। সিইসি আরও বলেন, আমাদের হারানোর কিছু নেই। পাওয়ার কিছুও নাই। জীবনের শেষ প্রান্তে আমরা ইতিবাচক যদি কিছু করতে চাই।
গতকাল মঙ্গলবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ সব কথা কথা বলেন। ৩৯ জন সুশীল সমাজের প্রতিনিধিদের সংলাপে আমন্ত্রণ জানালেও মাত্র ১৯ জন এতে অংশ নেন।
সিইসি বলেন, দেশের নির্বাচন নিয়ে বিবর্তনটা ইতিবাচক হয়নি। সহিংসতা ব্যাপকতা লাভ করে। এটা হলে পরে ভোটাররা আগ্রহ হারিয়ে ফেলে। ভোট দিতে পারে না। আপনারাও বলেছেন সহিংসতা প্রতিরোধ করতে হবে। ১০০ শতাংশ সফলতা হয়তো কখনো সম্ভব না দাবি করে তিনি বলেন, কেউ বলেছেন এটা যদি ৫০ শতাংশ ৬০ শতাংশ গ্রহণযোগ্য হয়, তাহলে এটাও একটা বড় সফলতা।
বিগত নির্বাচনে বেশকিছু কারণে মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে, কেউ বলছে ভোট দিচ্ছে না। তবে নারায়ণগঞ্জের ইলেকশন খুব সুন্দর হয়েছে। ইভিএমের মাধ্যমে এটা একটা ভালো দিক বলে মনে করেন তিনি। ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএমের) বিপক্ষে অনেকেই বলেছেন জানিয়ে সিইসি বলেন, এটার মধ্যে কোনো অসুবিধা আছে কি না, এটা ব্যবহারে অনেকেই অভ্যস্ত নয়। মেশিনের মাধ্যমে কোনো ডিজিটাল কারচুপি হয় কি না, পৃথিবীর অনেক দেশ ইভিএম বাতিল করে দিয়েছে, কেন করলো সেটা গবেষণা করা উচিত।
ইভিএমে রিকাউন্টিং প্রবলেম আছে জানিয়ে তিনি আরো বলেন, যদি কোনোরকম কারচুপি হয়ে থাকে, তাহলে রিকাউন্টিং করা যাবে কি না, এটার কোনো ব্যবস্থা আছে কি না, এটা আমাদের বুঝতে হবে। আমাদের টেকনিক্যাল কমিটির মিটিং করে একটা ধারণা নিতে হবে। নির্বাচনে যেন ধর্মের ব্যবহার না হয়, সেটও আমরা গুরুত্ব সহকারে দেখবো।