ঢাকার ধামরাইয়ে শর্টসার্কিটের আগুন থেকে ৯টি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়েগেছে। এতে প্রায় ৩০লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
আজ শনিবার (২৬ মার্চ) বেলা ২টার দিকে মোঃ আজাহারুল ইসলাম এর মালিকানাধীন উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের কালামপুর বাজারের বড় মসজিদের পাশে ৯টি টিনের ঘরে আগুন লাগার ঘটনা ঘটে। ফায়ার সার্ভিস ও স্থানীয়সুত্রে জানা যায়, বেলা ২টার দিকে কালামপুর বাজারে একটি টিনের ঘরে বিদ্যুৎতের শর্টসার্কিটের আগুন থেকে আগুন লেগে ৯টি ঘর পুড়ে যায়।
দক্ষিণের বাতাস থাকায় আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়লে ঘরের অন্যান্য মালামালে দ্রুত পুড়ে যায়। পরে ধামরাই ফায়ারসার্ভিস এর দুটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। এঘটনায় কোন হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও প্রায় ৩০লক্ষ টাকার ক্ষয়-ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে ফায়ার সার্ভিসের লোকেরা আরও আর্ধকোটি টাকার মালামাল আগুনেে হাত থেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছে। তবে ঘরের ভিতরে থাকা নগদ প্রায় ৮ লক্ষ টাকা আগুনে পুড়ে যায়। আগুন লাগার পাশের বাড়ীর মালিক মোঃ হাবিবুর রহমান বলেন,দুপুরে হঠাৎ করেই ঘরের ভিতরে আগুন লাগায় হইচই শব্দ আসে। তখন আমরা এগিয়ে গিয়ে দেখি ঘরের ভিতরে আগুন লেগে গেছে। পরে ফায়ার সার্ভিসে খবর দিলে তারা দ্রুত এসে অনেক সময় পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভয়ে স্থানীয় লোকজন আগুন নিভাতে এগিয়ে যায়নি। টিনের ঘরে আগুনে আমার বিল্ডিং এর পূর্বপাশের অনেক ক্ষতি হয়ে গিয়েছে। আমার দ্বিতীয় তলার রোমের ভিতরে বেশ কিছু জিনিস নষ্ট হয়েগেছে। বাড়ীর মালিক মোঃ আজাহারুল ইসলাম বলেন, আমি ঘরগুলো ভাড়া দিয়েছি। সেই ঘরে বিদ্যুৎতের শর্টসার্কিটের আগুন থেকে আগুন লেগে ঘরসহ ঘরের অন্যান্য মালামাল পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
এতে আমার এবং ভাড়াটিয়াদের মিলে প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মতো ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। সেই সাথে পাশের বাড়ীর ওয়ালে আগুনের লাবা লেগে কিছু ক্ষতি হয়েছে বলে জানাগেছে। কালামপুর বাজার বণিক সমিতির সভাপতি ও ধামরাই উপজেলা আওয়ামী সেচ্ছাসেবক লীগের সহ-সভাপতি মোঃ রবিউল করিম বলেন, আগুন লাগা দেখে নিজের জীবন বাজি রেখে আগুন নেভানোর চেষ্টা করি। সেই সাথে ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দেয়।
ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার বাজার বণিক সমিতির আওতাভুক্ত না থাকলেও ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারকে অর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে। ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন কর্মকর্তা সোহেল রানা বলেন, আমরা খবর পাওয়ার সাথে সাথে দ্রুত ঘটনাস্থলে যাই। ঘটনা স্থলে পৌঁছে ফায়ার সার্ভিসের দুটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। পরে সম্পুর্ণ আগুন নেভাতে সক্ষম হয়।এঘটনায় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার মতো ক্ষতি হয়েছে। তবে ফায়ার সার্ভিসের সহায়তায় পাশের প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার মালামাল রক্ষা পেয়েছে।