ঢাকার ধামরাইয়ে আধিপত্ত বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই গ্রামের লোকজনের মধ্যে সংঘর্ষে একটি প্রাইভেটকারসহ চারটি ট্রাক ভাঙচুর করা হয়েছে। সেই সাথে কাজল নামে একজনকে পিটিয়ে আহত করেছে। আহত কাজলকে উদ্ধার করে সাটুরিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কাজলের বড় ভাই বিল্পব।
আজ মঙ্গলবার (৫এপ্রিল) বিকাল ৩ টার সময় ধামরাই উপজেলার বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামে সংঘর্ষের ঘটনাটি ঘটে।
আহত কাজল বালিয়া ইউনিয়নের বালিয়া গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। তাকে মুমূর্ষ অবস্থায় সাটুরিয়া সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এলাকাবাসি সুত্রে জানাযায়, বেশ কিছুদিন আগে বালিয়া ওদুদুর রহমান উচ্চ বিদ্যালয়ে বালিয়া গ্রামের ছাত্রদের সাথে বাস্তা নয়াচর গ্রামের ছাত্রদের ঝগড়া হয়।
সেই ঝগড়াকে কেন্দ্র করে আজ বিকাল ৩ টার সময় কাজল ছেলেটি কাওয়ালী পাড়া বাজার থেকে বালিয়া যাওয়ার সময় পথিমধ্যে তার গতিেরাধ করে বাস্তা নয়াচরের কিছু ছেলেরা কাজলকে হাতুরি দিয়ে পিটিয়ে রাস্তায় ফেলে চলে যায়। সেই সাথে কাজলের সাথে থাকা ডিসকভারি একটি মোটরসাইকেল ভেঙে ঘুরিয়ে ফেলে। পরে পাশে গ্রাম থেকে লোকজন এসে কাজলকে উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায়।
এই খবর শোনে বালিয়া গ্রামেের কাজলের ভাই বিল্পবের লোকজন রাস্তায় বেড়িকেট দিয়ে বাস্তা নয়াচর গ্রামের নাহিদ মিয়ার ৪ টি মাটির ট্রাকের সামনের গ্লাস ভেঙে ফেলে এবং সেই সাথে ধামরাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য বাস্তা নয়াচর গ্রামের মোঃ খায়রুল ইসলামের প্রাইভেটকার ভেঙে গুড়িয়ে দেয় বালিয়া গ্রামের ছেলেরা। এই বিষয়ে কাজলের ফুফাতে্া ভাই মোঃ রুবেল বলে, আমার ভাই কাওয়ালীপাড়া বাজার থেকে বালিয়া আসার পথে বাস্তা নয়াচর গ্রামের মাটি ব্যবসায়ী নাহিদের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কাজলকে রাস্তায় ফেলে মারধর করে।আমরা এর সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
এই বিষয়ে ধামরাই উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মোঃ খায়রুল ইসলাম বলেন, আমি গাড়ী নিয়ে ইফতার পার্টিতে চৌহাট বকশি বাজার যাওযার পথে বালিয়া কালিয়াগার পৌছালে কিছু বুঝে উঠার আগে দশ বারজন ছেলে এসে গাড়ীর পিছন থেকে লোহার পাইপ দিয়ে বাইরিয়ে ভাঙচুর করে। তবে শুনেছি বালিয়া স্কুলে ছাত্র-ছাত্রীদের মাঝে কয়েকদিন ধরে ঝগড়া চলছে। এই বিষয়ে কাওয়ালীপাড়া বাজার পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের (এসআই) মোঃ মজিবুর রহমান বলেন, আমরা গাড়ী ভাঙচুরের খবর পেয়ে সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বালিয়া চৌরাস্তা এসে দেখি কিছু ছেলেরা লাঠি সোটা নিয়ে রাস্তায় দাঁড়িয়ে আছে। আমরা গিয়ে তাদের ছত্রভঙ করে দিয়েছি।