মুসলমান ধর্মাবলম্বীদের পবিত্র রমজান মাস। ত্যাগের এ মাসে মুসল্লিরা ব্যস্ত থাকে সিয়াম সাধনায়। পবিত্র এ মাসে তাই পুরো পরিবার নিয়ে ইফতার কিংবা সেহরির আয়োজন করে অনেকেই।
উৎসব এলেই পরিবারের বড়রা একসঙ্গে বসে যেতেন রান্না-বান্নার কাজে। মা-খালাদের সেই অভ্যাস একদিকে যেমন কাজকে সহজ করতো, তেমনি উৎসবের আনন্দ বাড়িয়ে দ্বিগুণ করে দিত।তেমনি আপনিও এমন একটা আয়োজন করে ফেলতে পারেন খুব সহজেই। আশেপাশে থাকা আত্মীয়-স্বজনদের দাওয়াত করে একসঙ্গে সেরে ফেলতে পারেন রান্নার কাজ। এতে আত্মীয়দের সঙ্গে সুসম্পর্ক গড়ে উঠবে সহজেই।
রমজান মাসের খাবার ছাড়াও উৎসবের আমেজকে আরেক ধাপ বাড়িয়ে দিতে পারে শিশুরা। রমজানের আমেজকে ঘরজুড়ে ছড়িয়ে দিতে তাই সেই দায়িত্বটা দিতে পারেন বাড়ির শিশুদের। তাদের হাতে তুলে দিন রঙতুলি আর বোর্ড, আঁকতে দিন নিজের মতো করে। আর সেগুলো দিয়েই সাজিয়ে ফেলুন ঘরের বিভিন্ন দেয়াল।বাড়ির শিশুদের আঁকা ছবি দিয়ে দিয়ে আরও বানাতে পারেন ঘর সাজানোর বিভিন্ন ধরনের লন্ঠন কিংবা ঝারবাতি। এগুলো আপনার ঘরের সৌন্দর্যকে আরও বাড়িয়ে তুলবে।
নিজের জন্য নির্বাচন করুন পোশাক ইফতারের সময় খাবার আর টেবিল পরিপাটি করে সাজিয়ে তুলতে ভুলেন না কেউই। তবে এমন একটি উৎসবের অন্যতম একটি অংশ হলো আপনার পোশাক। মানানসই পরিপাটি পোশাক ছাড়া পুরো উৎসবের আয়োজনটাই মনে হয় অপূর্ণ। তাই পরিবারের সঙ্গে কাটানো এই সময়টাতে নিজেকে সাজিয়ে নিন মনের মতো করে।সাজিয়ে নিন বসার ঘর পরিবারের সঙ্গে ইফতার আয়োজনের আগেই ভেবে নিন বসার ঘরের কথা। রমজানের এই সময়ে বসার ঘরকে একটু ভিন্নরূপে সাজিয়ে নিতে পারেন আপনিও। বিশেষজ্ঞদের মতে, রমজানের এই সময়টাতে বসার ঘরটি সাজিয়ে নিতে পারেন মজলিস ঘরানায়। সেই সঙ্গে ঘর সাজাতে ব্যবহার করতে পারেন নানান ধরনের অনুষঙ্গের। এতে বসার ঘরের পরিবেশেও আসবে ভিন্নতা। বসার ঘরের জন্য আরেকটি ট্রেন্ডিং লুক হতে পারে মরোক্কান মোটিভ। উজ্জ্বল রঙের পর্দা ও ঐতিহ্যবাহী ডিজাইনের আসবাব, এমনকি বালিশেও যুক্ত করা যেতে পারে এই ডিজাইন।
ইফতার পরিবেশনের ক্ষেত্রে এ ধরনের সাজ অতিথিদের কাছ থেকে অবশ্যই প্রশংসা পাবে।