ঢাকার ধামরাই গাংগুটিয়া ইউনিয়নে বারবাড়িয়া গ্রামে গাছ কাটাকে কেন্দ্র করে মোঃ উজ্জল হোসাইন ও তার ভাই বাদল হোসাইনকে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে কুপিয়ে এবং পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা করেছে একই এলাকার মোঃ তানভির আহম্মেদ মালেক।
গতকাল(২৩এপ্রিল)বিকাল ৪.০০ ঘটিকার সময় গাংগুটিয়া ইউনিয়নে বারবাড়িয়া এলাকায় এমন ঘটনাটি ঘটেছে।
এই ঘটনায় মোঃ উজ্ঝল হোসাইন বাদী হয়ে ধামরাই থানায় একটি অভিযোগ করেছেন।পরে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে বলে জানাগেছে। আহতরা হলেন, মোঃ উজ্ঝল হোসাইন-(২৯)ও তার ভাই মোঃ বাদল হোসাইন(৩৫) পিতা মোঃ নুরুল ইসলাম।
অভিযুক্তরা হলেন, মোঃ তানভীর আহম্মেদ মালেক(৪৫) পিতা মুত আঃ গফুর, মোঃ আঃ মান্নান(৫০) পিতা আজাহার উদ্দিন,মোঃ আসিক(২৪) পিতা মোঃ জিন্নত আলী তারা গাংগুটিয়া ইউনিযনের চারিপাড়া গ্রামের বাসিন্দা। নিরঞ্জন(৪৫) পিতা মৃত ফেদা মিয়া গ্রাম বারবাড়িয়া।তাদের সাথে আরও কয়েকজন ছিল, তাদের নাম ঠিকানা জানে না কেউ।
এলাকাবাসি ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, উজ্জল হোসাইন ও তার ভাই বাদল তাদের নিজ জমিতে গাছ কাটতে ছিল। হঠাৎ তানভীর আহম্মেদ মালেক তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে নিজের অধিপত্ত বিস্তার করে জোর করে অন্যায় ভাবে তাদের গাছ কাটাকে বাধাঁ দেয়। তখন বাদল হোসাইন বলে আমাদের গাছ আমরা কাটবো আপনারা কেন বাধাঁ দেন। এই কথা বলার সাথে সাথে মালেক ও তার সন্ত্রাসী বাহনিী নিয়া রাম-দা দিয়ে বাদলকে কুপ দেয়। কিন্তু আল্লাহ রহমতে বাদল নিজের প্রাণ বাচাঁতে সরে দাড়াঁলে কুপটি তার নাকের লেগে কেটে যায়। এই সময় তার ভাই উজ্জল এগিয়ে আসলে তাকেও তারা পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করিয়া ফেলে।
এই সময় তদের ডাক-চিৎকারের শদ্ধ শুনে আশে পাশের লোকজন চলে আসলে মালেক তার লোকজন নিয়ে দৌড়িয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় আসিককে জনতা ঘিরে ফেলে আটক করে, এবং তার কাছে থাকা একহাত লম্বা একটি ছুরি পাওয়া যায়। পরে মালেক তার এলাকা থেকে সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে জনতার মধ্যে আক্রমন করে আসিককে ছাড়িয়ে নিয়ে যায়।
পরে এলাকার লোকজন আহত বাদল ও তার ভাই উজ্জলকে উদ্ধার করে মানিকগঞ্জ সরকারী হাসপাতালে ভর্তি করেন। এই বিষয়ে মোঃ উজ্জল হোসাইন বলেন,আমাদের নিজের জমির গাছ কাটতেছি। হঠাৎ করে বিএনপির ধামরাই উপজেলার যুবদলের সাবেক সহ-সভাপতি মোঃ তানভীর আহম্মেদ মালেক তার সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে আমাদের জমিতে এসে গাছ কাটা বাধাঁ দেয় এবং গাছ কাটার সব যস্ত্রপাতি নিয়েযায়। এই সময় আমার ভাই বাদল বাধাঁ দিলে তারা আমার ভাইকে মালেকের হাতে থাকা রাম-দা দিয়ে তাকে কুপ দেয়। ভাই সরে দাড়াঁলে কুপটি তার নাকের পাশে লেগে নাক কেটে যায়। সেই সময় আমি এগিয়ে গেলে তারা আমাকে ও বেদম মারধর করে।
মালেক গত কয়েক দিন ধরে আমাকে ফোনের মাধ্যমে প্রাণ নাশের হুমকি দিয়ে আসছিল। সেই জন্য গত ২২এপ্রিল ধামরাই থানায় গিয়ে মালেকের বিরুদ্ধে আমি একটি জিডিও করেছি। আজ তারা আমাকে ও আমার ভাইকে প্রাণে মারার জন্য হামলা চালিয়েছে। আমি এর বিচার দাবি করছি। এই বিষয়ে জানতে তানভীর আহম্মেদ মালেককে তার মুটো ফোনে বার বার কল দিলেও সে ফোন রিসিভ করেনি।
এই ব্যাপারে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক(এস আই)আসীম বিশ্বাস বলেন,গত ২২এপ্রিল উজ্জল নামে এক ব্যাক্তি তার প্রাণ নাশের একটি জিডি করেন। পরে আজ সেখানে মালেক তাদের উপর হামলা চালায়। এইসময় উজ্জল আমাকে ফোন দিলে আমি ওসি স্যারের সাথে কথা বলে দ্রত ঘটনাস্থলে যায়। সেখানে গিয়ে হামলার ঘটনার সত্যতা পায়।এরপর উজ্জল বাদী হয়ে একটি অভিযোগ দায়ের করছে। এর সঠিক তদন্ত করে অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইন গত ব্যাবস্থা নেওয়া হবে।