ঢাকার ধামরাইয়ে বহিরাগত সন্ত্রাসী দিয়ে নিসাদ হোসেন (২০), ও আরিফুর রহমান বাবু দুইজন পোশাক শ্রমিককে অডিসি গার্মেন্টস কারখানার ভিতরে মরধর করে সাদা কাগজে স্বাক্ষর নেয়ার অভিযোগ উঠেছে। এঘটনায় অডিসি ক্রাফট লিঃ নামের ওই পোশাক কারখানার শ্রমিক আরিফুর রহমান বাবু (২২) ও নিসাদ নামের দু’জনকে গুরুতর অবস্থা ধামরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
শনিবার (২১ মে) রাত ৯ টার দিকে ধামরাইয়ের সোমভাগ ইউনিয়নের ফুকুটিয়া এলাকায় অডিসি ক্রাফট লিঃ নামের একটি পোশাক কারখানার ভিতরে এই মারধরের ঘটনা ঘটে। ভুক্তভোগীরা হলেন, অডিসি ক্রাফট লিঃ পোশাক কারখানার শ্রমিক আরিফুর রহমান বাবু ও মোঃ উজ্জল, জয়পুরা এলাকার মজিবর রহমানের ছেলে মোঃ নিসাদ হোসেন। অভিযুক্তরা হলেন, অডিসি ক্রাফট লিঃ এর এডমিন মোঃ আমিন, সোমভাগ ইউনিয়নের ফুকুটিয়া এলাকার ভাষানী (৪০), লুৎফর রহমান (৪৫), জাকির (৩৬), মামুন (৩০)। জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (১৯ মে) সোমভাগ ইউনিয়ন পরিষদ বাজারের পাশে অডিসি ক্রাফট লিঃ এর কাটিং ইনচার্জ মোঃ সেলিম কে স্থানীয় কয়েকজন বখাটে ছেলেরা মারধর করে। পরে শনিবার বিকেলের দিকে মোঃ সেলিম কে মারধরের অভিযোগে নিসাদ হোসেন নামের ওই যুবককে স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জয়পুরা থেকে মাক্রোবাসে তুলে অডিসি ক্রাফট লিঃ পোশাক কারখানার ভিতরে নিয়ে যায়। পরে তাকে সেখানে বেধড়ক মারধর করে। এছাড়াও অডিসি ক্রাফট লিঃ এর কাটিং ইনচার্জ মোঃ সেলিম কে মারধরের সাথে জাড়িত থাকার অভিযোগ এনে ওই পোশাক কারখানার শ্রমিক আরিফুর রহমান বাবু ও মোঃ উজ্জল কে মারধর করে। এদের মধ্যে আরিফুর রহমান বাবুর অবস্থা গুরুতর।
ভুক্তভোগী অডিসি কারখানার কাটিং হেলপার আরিফুর রহমান বাবু জানান, ওই মারামারির সাথে আমি ছিলাম না। তার পরও আমাকে শুধু শুধু মারধর করলো। আমি কাজ করতেছিলাম। হঠাৎ সিকিউরিটি দিয়ে ডেকে আমাকে এ্যাডমিন এর রুমে নিয়ে যায়। রুমে ঢুকতেই আমার কলার ধরে আমাকে বেধড়ক মারধর করে। আরিফুর রহমান বাবুর বাবা লোকমান হোসেন জানান, আমার ছেলে ওই মারামারির মধ্যে ছিলো না। কিন্তু তাও আমার ছেলেকে কেন এত মারধর করলো। আমরা কারখানায় যাওয়ার পর সাদা কাগজে আমাদের স্বাক্ষর রেখে আমার ছেলেকে দিয়ে দিছে। পরে বাড়িতে আনার পর দেখি আমার ছেলে অসুস্থ হইয়ে গেছে, প্রচুর বমি করে। তখন আমার ছেলে আমাকে বলে কারখানায় আমাকে মারছে। পরে হাসপাতালে ভর্তি করি।
এছাড়া থানায় মামলা করতে নিষেধ করে। আমরা গরীব মানুষ তাই থানা পুলিশ করতে পারি নাই। ভুক্তভোগী নিসাদ জানায়, আমাকে জয়পুরা থেকে মেরে একটি মাইক্রোবাসে তুলে। পরে অডিসির ভিতরে নিয়ে আবারো মারধর করে একটা কাগজে স্বাক্ষর করায়। কারখানার কাটিং ইনচার্জ মোঃ সেলিম কে মারধরের বিষয়টি স্বীকার করে তিনি বলেন, আমি ওই কারখানায় কাজ করতাম পরে বাদ দিয়ে দিছি। এখন রাস্তা ঘাটে সেলিম ভাই আমাকে দেখলেই আমাকে নিয়ে কটুকথা বলে। সেই কথা আমি আমার কয়েকজন বন্ধুর কাছে শেয়ার করেছিলাম তারা হয়ত মারছে। কিন্তু আমি সেখানে ছিলাম না। এবিষয়ে অডিসি ক্রাফট লিঃ এর এডমিন মোঃ আমিন বলেন, এটা আপনি যাদের কাছে শুনছেন তাদের কাছে থেকে ভালো করে শুনেন। পরে আমার কাছে কিছু জানার থাকলে আমি আপনার সাথে কথা বলবো। ওইখানে দুইজন আমাদের পোশাক শ্রমিক না। এক জন আমাদের পোশাক শ্রমিক। আপনি তার কাছ থেকে জানেন। তার পর আপনার সাথে আমি কথা বলবো।