নতুন নির্বাচনের দিন-তারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ইসলামাবাদে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছে পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার সমর্থিত অন্য দলগুলো। সেই সাথে পাকিস্তান সরকারের অনুমোদন ছাড়াই‘আজাদী মার্চ’নামের ওই লং মার্চ নিয়ে ব্যাপক উত্তেজনা বিরাজ করছে পাক রাজনীতিতে। এমন পরিস্থিতিতে সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান ও তার দলের শীর্ষ নেতাদের সরকার আটক করতে যাচ্ছে বলে বিভিন্ন তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। সরকারকে তোয়াক্কা না করে এই লং মার্চটি পেশোয়ার থেকে রাজধানী ইসলামাবাদে পৌঁছানোর কথা রয়েছে বুধবার। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাকিস্তান সেনাবাহিনীকেও ডেকেছে সরকার। একটি সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে পাকিস্তানের জিও টিভি অনলাইন জানায়, ‘আজাদী মার্চ’ নামের ওই লং মার্চের অনুমোদন দেয়নি পাকিস্তানের সরকার।
পাকিস্তানের দ্য নিউজের অন্য এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, দেশটির একজন শীর্ষ নিরাপত্তা কর্মকর্তা বলেছেন যে, ইমরান খানের বলা পাকিস্তানের ইতিহাসে ‘সবচেয়ে বড় মিছিল’ বন্ধ করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হবে। মঙ্গলবার পাকিস্তানের শাহবাজ শরিফ সরকার পিটিআই-এর ‘আজাদী মার্চ’ বানচাল করতে তার সব শক্তি প্রয়োগের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ প্রেক্ষাপটে পুলিশ পিটিআই নেতা-কর্মীদের ওপর ধড়পাকড়ও চালায়। লাহোর, করাচি, ইসলামাবাদ ও রাওয়ালপিন্ডি শহরে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে এবং দেশটির বিভিন্ন অংশ থেকে রাজধানী ইসলামাবাদে যাওয়ার সড়কগুলো বন্ধ করে দেয়া হয়েছে।
সরকারি সূত্রের বরাত দিয়ে জিও টিভি জানায়, লাহোরে মোট ১৬২ জন পিটিআই কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পাঞ্জাব প্রদেশে ১৪৪ ধারা জারি হওয়ার পর তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু এসবে দমে যেতে রাজি নন ইমরান খান ও তার অনুগামীরা। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তাকে সমর্থন করেন- এমন অন্য দলগুলোর নেতারা নতুন নির্বাচনের দিনতারিখ ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত ইসলামাবাদে অবস্থানের ঘোষণা দিয়েছেন।
গত এপ্রিলে পার্লামেন্টে অনাস্থা ভোটে হেরে ক্ষমতা ছাড়তে বাধ্য হন পিটিআই নেতা ইমরান খান। পরে পিএমএল-এনের নেতা শাহবাজ শরিফ তার স্থলাভিষিক্ত হন।