ঢাকার ধামরাইয়ের সূতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার পরাজয় একটি দুঃখ জনক বিষয়। নেতাকর্মী থাকার পরও কেন নৌকা বিজয় লাভ করতে পারে নি তার কিছু কারণ রয়েছে। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা চেয়ারম্যান বাদ দিয়ে মেম্বার প্রার্থীদের নিয়ে বেশি ব্যস্ত ছিল। ভোট কেন্দ্রে নৌকার ব্যাচ পড়া আওয়ামী লীগের কোন নেতাকর্মী ছিল না। ২৩ জুন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ২৫ জুন পদ্মা সেতুর শুভ উদ্বোধন উপলক্ষে ঢাকার ধামরাইয়ে যৌথ সভায় এমন মন্তব্য করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ ।
তিনি আরো বলেন ২৫ জুন পদ্মা সেতুর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যাওয়া কষ্টকর হবে। তাই উপজেলার পরিষদ চত্বরে পদ্মা সেতুর উদ্বোধনে আনন্দ মিছিল বের করা হবে। ধামরাইবাসী চিরস্মরণীয় করে রাখবে দিনটিকে। পৃথিবীর কয়েকটি সেতুর মধ্যে পদ্মা সেতু একটি।বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে একটি অবিস্বরনী কাজ করে দেখালেন। আর এই কাজ সম্ভব হয়েছে একমাত্র আওয়ামী লীগ সরকার জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। অন্য কারও পক্ষে করা সম্ভব নয়।
সামনে জাতীয় নির্বাচন,তাই সকল নেতাকর্মীদের এক হয়ে কাজ করতে হবে। কারও মনে কোন দ্বিধা দ্বন্দ্ব ভুলে গিয়ে সবায়কে এক হয়ে কাজ করতে হবে। দল একদিনে হয়নি। আমরা প্রথম নির্বাচন ভোট পেয়ে ছিলাম মাত্র ২৪ হাজার এর পরের নির্বাচনে পেয়েছি ৪০ হাজার এভাবে করতে করতে ২০০৮ সালে ৭৬ হাজার ভোট বেশি পেয়ে জয়লাভ করে সংসদে গিয়েছি। তাই কাউকে দোষারুপ না করে সবায় মিলে দলকে কিভাবে শক্তিশালী করা যায়। সেই চিন্তা করেন। পরিশেষে তিনি বলেন আগামী জাতীয় নির্বাচনে সকলকে একত্রিত হয়ে কাজ করার আহবান জানান বর্তমান ও সাবেক সংসদ সদস্য। এর আগে সানোড়া ইউনিয়ন পরিষদের ইউপি সদস্য আলাউদ্দিন৷ নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা দিনরাত পরিশ্রম করি আর নেতারা টাকার কাছে বিক্রি হয়েছিল বলে নৌকার ভরাডুবি হয়েছে। তিনি আরো কথা বলতে চাইলে মঞ্চে উপবিষ্ট নেতারা তাকে থামিয়ে দেন। কিন্তু তার পর তিনি বলেন নেতাকর্মীরা সূতিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন নিয়ে কথা তুলেন। কিন্তু নেতাকর্মীদের সমন্বয়ের অভাবে নৌকার বিজয় লাভ সম্ভব হয়নি বলে মনে করেন এই নেতা।
সোমবার (২০ জুন) ৩ টার দিকে পৌরসভার ঢুলিভিটা বাসস্ট্যান্ডের পাশে সিটি সেন্টারে এই যৌথ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক সাংসদ এম এ মালেক এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্থানীয় সংসদ সদস্য বীরমুক্তিযোদ্ধা আলহাজ্ব বেনজীর আহমদ। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাদ্দেছ হোসেন, পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম কবির, উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাখাওয়াত হোসেন সাকু, ভাইস চেয়ারম্যান সিরাজ উদ্দিন্ সকল ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও পৌরসভার কাউন্সিলরবৃন্দ।