বিয়ের তিন মাস পর থেকে স্বামী ও শ্বশুর বাড়ি লোকজনের দাবিকৃত যৌতুকের টাকা দিতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছে রোমানা নামের এক নারী।
বৃহস্পতিবার বিকেলে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে রোমানা। পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। এ ঘটনাটি ঘটেছে ধামরাই পৌরসভার তালতলা মহল্লায়। নিহতের পরিবার জানান, টাঙ্গাইল জেলার ঘাটাইল উপজেলার কালিয়া গ্রামের রফিকুল ইসলাম স্ত্রী ও এক মেয়ে সাবরিনা ইসলাম রোমানা (১৮) কে নিয়ে ধামরাই পৌরসভার তালতলা মহল্লার কবির হোসেনের বাসায় ভাড়া থাকে। ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার আশফদ্দী গ্রামের নবাব আলী খন্দকারের ছেলে রনিস খন্দকার (২৭) সাথে প্রেমের সম্পক হয় রোমানার।
পরে উভয় পক্ষে অভিভাবকরা গত তিন মাস পূর্বে রোমানা ও রনিস খন্দকারের বিয়ে দেয়। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে রোমানা ও তার বাবার কাছে দুই লাখ টাকা যৌতুক চায় রনিসের পরিবার। যৌতুকের দুই লাখ দিতে না পারায় রোমানাকে মারধর করে বাবার বাড়িতে পাঠিয়ে দেয় স্বামী রনিস।
বৃহস্পতিবার রোমানাকে ফোন করে স্বামী রনিস বলে যৌতুকের দুই লাখ টাকা না দিলে তাকে ডিভোস দিবে। পরে বিকেলে মানুষিক চাপ সইতে না পেরে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয় রোমানা। বাবার বাড়িতে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
নিহতের লাশ পুলিশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য ঢাকা শহীদ সোহর্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। এঘটনায় থানায় একটি ইউডি মামলা নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। রোমানার বাবা রফিকুল ইসলাম জানান,বিয়ের কিছুদিন পর থেকে দুই লাখ টাকা যৌতুক চায় মেয়ের জামাই ও তার বাবা। তাদের দাবিকৃত যৌতুকের দুই লাখ টাকা আমি দিতে না পারায় মেয়েকে মারধর করে আসছিল স্বামী ও তার পরিবার। যৌতুক দিতে না পারায় আমার মেয়েকে হারালাম। আমার মেয়ে মৃত্যুর বিচার চাই।
ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ আতিকুর রহমান বলেন,লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। একটি ইউডি মামলা নেওয়ার প্রস্তুত চলছে।
অপরদিকে পৌর শরের ধানসিঁড়ি আবাসিক এলাকায় একটি ভাড়াবাসায় কবিতা আক্তার (২৫) নামের এক গার্মেন্টস কর্মী স্বামীর সাথে অভিমান করে রুমের ভেতর গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করে। কবিতা ধামরাইয়ের একটি পোষাক কারখানার শ্রমিক বলে জানা গেছে। এই রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত কবিতার আর কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।