ঢাকার ধামরাইয়ে করিম কায়েমতারা এলাকা হতে ফারজানা আক্তার(১৪)নামে এক মাদ্রাসা ছাত্রীর ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করেছেন ধামরাই থানা পুলিশ।
আজ মঙ্গলবার(২৮জুন)রাত ৯টার দিকে ধামরাই উপজেলার সূয়াপুর ইউনিয়নের উত্তর করিম কায়েমতারা এলাকা হতে ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে থানা পুলিশ। নিহত ফারজানা আক্তার উপজেলার করিম কায়েমতারা এলাকার মোঃ ফারুক হোসেনের মেয়ে।সে রৌহা দাখিল মাদ্রাসার অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী।
ফারজানা আক্তারের বাবা একজন রাজমিঞি এবং তার মা একজন গামেস্টস কর্মী। স্থানীয়দের কাছ থেকে জানা যায়, প্রতিনিদের ন্যায় ফারজানা মা সকালে অফিসে চলে যায়। আর বাবা ফারুক হোসেনও রাজমিঞি কাজে বাহিরে চলে যায়। দুপুরে দিকে ফারজানার বাবা ভাত খেতে বাড়িতে চলে আসে। ফারজানার বাবা ভাত খেয়ে পূর্ণরায় কাজে চলে যায়।এই সুযোগে ফারজানা তার ছোট ভাইকে পাশের তার নানীর বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।
পরে বিকাল বেলা ফারজানা তার নিজ ঘরে আড়ার সাথে ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করে। এরপর ফাজানার বাবা বাড়ীতে এসে ঘরের দরজা বন্ধ দেখে ফারজানাকে ডাকে কিন্তু ভিতর থেকে কোন সাড়াশদ্ধ না পেয়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভিতরে গিয়ে দেখে ফারজানার ঝুলন্ত লাশ। পরে তার চিৎকারের শদ্ধ শোনে আশে পাশের লোকজন এসে পুলিশকে খবর দেয় দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়।
তবে কি কারণে ফারজানা আত্মহত্যা করেছে তা কেউ জানে না। রাতেই পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতের লাশ উদ্ধার করে। এ নিয়ে এলাকায় শোকের মাতম বইছে। এ বিষয়ে ফারজানার বাবা ফারুক হোসেন বলেন,ফারজানা আমাকে দুপুরে ভাত খেতে দিল।আমি ভাত খেয়ে কাজে গেলাম। কি কারণে আমার মেয়ে আত্মহত্যা করলো আমি কিছুই বলতে পারি না। ওর মা সকালে যায় আর সন্ধ্যায় আসে।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার (ওসি তদন্ত) মোঃ ওয়াহিদ পারবেজ বলেন, নিতহ ফারজানার লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে নিহতের শরীরের কোন আঘাতের চিহৃ পাওয়া যাননি নিহত লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করে ময়না তদন্ত জন্য ঢাকা হোসেন শহীদ সোহরাওয়াদী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে।