মানিকগঞ্জের দৌলতপুর উপজেলার আগকলিয়া গ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে ভূমিদস্যুদের নির্মম হামলার শিকার ও রাম-দায়ের কোপে গুরতর জখম হয়েছেন অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ মুক্তার হোসেন। সেনা সদস্য মুক্তার হোসেন এখন দৌলতপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বেডে শয্যাশায়ী। এদিকে উক্ত ঘটনায় মুক্তার হোসেনের ভাগিনা মোঃ শিপলু মিয়া দৌলতপুর থানায় আগকলিয়া গ্রামের মৃত শরত আলীর দুই পুত্র মোঃ মনির হোসেন, মোঃ আনোয়ার হোসেন, মৃত সমেজ উদ্দিনের পুত্র মোঃ ছনু মিয়া এবং মোঃ সাইজুদ্দিনের পুত্র মোঃ শাকিল কে আাসামী করে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছে।
অভিযোগে প্রকাশ, আসামীদের সাথে মোঃ শিপলু মিয়ার পূর্ব থেকেই জমি সংক্রান্ত বিরোধ চলে আসছিল। গত ১২আগষ্ট সকাল আনুমানিক সাড়ে ১০টার সময় ভূমিদস্যুরা জোরপূর্ববকভাবে শিপলু মিয়ার সীমানায় অবৈধ অনুপ্রবেশ করে তার টিনের ছাপড়া ঘর ভেকু দিয়ে মাটিসহ ঘর উপড়ে ফেলার জন্য আসে। এসময় সংবাদ পেয়ে মোঃ শিপলুসহ তার মামা মুক্তার ঘটনাস্থলে গেলে মনির হোসেন তার হাতে থাকা ধারালো রাম-দা দিয়ে মুক্তার হোসেনকে হত্যার উদ্দেশ্যে মাথায় কোপ মেরে মারাত্নক কাটা জখম করে এবং ডান হাতের কবজির উপরে রাম দায়ের কোপ মেরে রক্তাক্ত জখম করে।
এসময় অন্যান্য ভূমিদস্যুরা বাঁশের লাঠি ও লোহার রড দিয়ে এলোপাথারী বাইরাইয়া শরীরের বিভিন্ন অংশে মারাত্নক নীলাফুলা জখম করে। তাদের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন আগাইয়া আসিলে তারা প্রাণে মেরে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি ধামকি দিয়ে বীরদর্পে ঘটনাস্থল ত্যাগ করে চলে যায়। পরে স্থানীয়দের সহায়তায় আশংকাজনক অবস্থায় সেনাসদস্য মুক্তার হোসেনকে চিকিৎসার জন্য দৌলতপুর থানা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। অবসরপ্রাপ্ত সেনা সদস্য মোঃ মুক্তার হোসেনের পিতা মোঃ কোরবান আলী জানান, অভিযুক্ত আসামীরা খুবই হিং¯্র প্রকৃতির লোকজন। ইতিপূর্বে তারা আমার ৭৬ শতাংশ জমির ভুট্টা গাছ জোরপূর্বক কেটে নিয়ে যায়।
এতে বাধা দিতে গেলে আমাকে তারা অশ্লীল ভাষায় গালিগালাজসহ দা-কাচি দিয়ে কোপাতে আসে। এর পরিপ্রেক্ষিতে আমি বিগত ২৩/৫/২২ইং তারিখে মৃত শরত আলীর পুত্র মোঃ আনোয়ার হোসেন ও মোঃ মনির হোসেন এবং মৃত সমেজ উদ্দিনের পুত্র মোঃ ছনু মিয়ার বিরুদ্ধে দৌলতপুর থানায় একটি সাধারন ডায়রী করি যাহার নম্বর ৮৬০। অভিযুক্তরা প্রভাব খাটিয়ে থানা ম্যানেজ করে ঘটনাটি ধামাচাপা দিয়েছে । পুলিশ কোন কার্যকর ব্যবস্থা না নেওয়ায় অভিযুক্তরা আরো বেপরোয়া হয়ে ওঠেছে এবং সর্বশেষ তারা আমার পুত্র মুক্তারকে প্রাণে মেরে ফেলার জন্য তার উপর নিশংস হামলা করেছে ।
এলাকাবাসীসহ আমি আসামীদেরকে গ্রেপ্তারসহ সুষ্ঠ বিচার দাবী করছি। এদিকে রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত থানা পুলিশ কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।