মানিকগঞ্জে নবজাতকের বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করলেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক।
শনিবার ১৩আগষ্ট মানিকগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট জেনারেল হাসপাতালে এই সেবা কেন্দ্রের উদ্বোধন করা হয়। এসময় উপস্থিত ছিলেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ এবিএম খুরশিদ আলম, সেভ দ্য চিলড্রেনের কান্ট্রি ডিরেক্টর অনো ভ্যান ম্যানেন, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের সচিব আনোয়ার হোসেন হাওলাদার, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিঃ মহাপরিচালক অধ্যাপক ডাঃ আহমেদুল কবির, বাংলাদেশ মেডিকেল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডাঃ মোহাম্মদ সহিদুল্লাহ্, জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ আব্দুল লতিফ, পুলিশ সুপার মোহাম্মদ গোলাম আজাদ খান, কর্ণেল মালেক মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ ডা: মোঃ জাকির হোসেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এ্যাড. গোলাম মহীউদ্দিন, সাটুরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান এ্যাড. আব্দুল মজিদ ফটোসহ স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের উর্দ্ধতন কর্মকর্তাসহ জেলার বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্রের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনকালে তার বক্তব্যে বলেন, আমাদের দেশে কোভিড ভালো অবস্থানে আছে। এখন মৃত্যুর হার শূণ্যে নেমে এসেছে এবং সংক্রামণও ৪ শতাংশের নিচে নেমে এসেছে। এখনো যারা কারোনার ১ম ও ২য় ডোজ নেননি তারা অতি শিগগির নিয়ে নিবেন। অপরদিকে মাত্র চার কোটি লোক বুস্টার ডোজ নিয়েছেন। অল্প দিনের মধ্যেই ১ম ও ২য় ডোজ টিকার কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যাবে। তাই আমি আহ্বান করবো যারা এখনো টিকা নেননি তারা টিকা নিয়ে নিবেন।
তিনি আরো বলেন, যারা অপরিপক্ক ও নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে অথবা অল্প ওজনে যেসব নবজাতকরা জন্মগ্রহন করে তাদের জন্য বিশেষ একটি ব্যবস্থা লাগে সেই ব্যবস্থাটাই হলো স্ক্যানো। শিশুদের এখানে রাখা হয় এতে করে তাদের জীবন রক্ষা হয়। সেই পেক্ষিতেই মানিকগঞ্জ সদর হাসপাতালে ১৫ শয্যা বিশিষ্ট নবজাতকের বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। আমাদের দেশে প্রতি হাজারে প্রায় ৩০/৩২ জন শিশু মৃত্যুবরণ করে। আমাদের এসডিজি অর্জন করতে হলে শিশু মৃত্যুর হার ১২ তে নামিয়ে আনতে হবে, সেই লক্ষ্যে এই ১৭ বেডের স্পেশাল কেয়ার নিউবর্ণ ইউনিট (স্ক্যানো ইউনিট) স্থাপন করা হলো।
সেই ধারাবাহিকতায় সারা দেশে প্রায় ৪০/৫০টি হাসপাতালে এই বিশেষায়িত সেবা কেন্দ্র স্থাপন করা হয়েছে। মন্ত্রী আরো বলেন, ৫ থেকে ১১ বছর বয়সী শিশুদের করোনার টিকা প্রদান পরীক্ষামূলকভাবে আমরা শুরু করেছি। আগামী ২৫ তারিখ থেকে পুরোদমে সিটি কর্পোরেশনগুলোতে আগে টিকাদান শুরু হবে। পর্যায়ক্রমে সারাদেশেই দেওয়া হবে। বিশেষ করে স্কুলগুলোতে টিকা দেওয়ার ব্যবস্থা করা হয়েছে। নিবন্ধন ছাড়া কেউ টিকা নিতে পারবেনা। পরে হাসপাতাল মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।