ঢাকার ধামরাইয়ে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় ৩ চাঁদাবাজকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ। তাদের নামে চাঁদাবাজির মামলা দিয়ে ৫দিনের রিমান্ড চেয়ে আজ সকালে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে বলে জানাযায়।
গতকাল মঙ্গলবার দিনগত রাতেই অভিযান চালিয়ে গাংগুটিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোঃ আব্দুল কাদের মোল্লার বাড়ি থেকে তাদেরকে আটক করা হয়।
আটককৃতরা হলেন, ধামরাই উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাওয়াখোলা গ্রামের মোঃ ইদ্রিস আলীর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম, কাউয়াখোলা গ্রামের মৃত চান মিয়ার ছেলে আব্দুল মান্নান, আয়নাল হকের ছেলে জহিরুল ইসলাম।
মামলা সুত্রে জানাযায়, উপজেলার গাংগুটিয়া ইউনিয়নের কাউয়াখোলা গ্রামের শহিদা খাতুনকে বিভিন্ন ধরনের মামলার ভয় দেখিয়ে পুলিশকে টাকা দিতে হবে বলে ৫০ হাজার টাকা দাবী করেন স্থানীয় বখাটে আব্দুল মান্নান, জহিরুল, শফিকুল, সালাউদ্দিন ও সাইফুল ইসলাম। টাকা না দিলে মামলা ও বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেওয়াসহ পরিবারের ক্ষতি করবে বলে জানায়। পরে শহিদা খাতুন ভয়ে পেয়ে ৩০ হাজার টাকা দেয়। এরপর আবার ৫ হাজার টাকা দাবী করে জহিরুল। ভয়ে নিজেকে বাচানোর জন্য ধামরাই থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী শহিদা খাতুন। পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা দাবীর বিষয়টি পুলিশ জানার পর তাদের আটকের অভিযানে নামে পুলিশ।
গতকাল বিকেলে স্থানীয় চেয়ারম্যান কাদের মোল্লার বাড়িতে ঔই চাঁদাবাজরা চেয়ারম্যানের সাথে রয়েছে জানতে পেরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে তাদের আটক করে। তবে পুলিশ মান্নান, জহিরুল ও সাইফুলকে ধরতে পারলেও সালাউদ্দিন কৌশলে পালিয়ে যায়। গাংগুটিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল কাদের মোল্লা বলেন,আমি বাড়িতে ছিলাম না,বাড়ি আসার আগেই তাদেরকে পুলিশ নিয়ে যায়। তিনি আরো বলেন, মান্নান,জহিরুল গংদের টাকা দেয় তারা, যেন বিষয়টি নিয়ে আর কোন কথা না বলে।
এ বিষয়ে পুলিশ উপ-পরিদর্শক (এসআই) নিউটন মৃধা বলেন, ভুক্তভোগীর কাছে পুলিশের নাম ভাঙিয়ে চাঁদা দাবী করার বিষয়টি জানতে পারি। ভুক্তভোগী থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করার পর অভিযান চালিয়ে আসামীদের আটক করা হয়েছে। আসামীদের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে তাদেরকে কোর্টে প্রেরণ করা হয়েছে।