ঢাকার ধামরাইয়ে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন জ্বালিয়ে এক গৃহবধূ আত্মহত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহতের স্বজন ও প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ বলছে, মানসিক ভারসাম্যহীনতা ও কলহ থেকেই ওই নারী আত্মহত্যা করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে।
শুক্রবার রাতে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক এসআই আশরাফুল ইসলাম তথ্যটি নিশ্চিত করেছেন। নাসিমা বেগম নামে ওই নারীর মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়।নিহত নাসিমা বেগম কুল্লা ইউনিয়নের নওগাও কায়েতপাড়া এলাকার জয়নাল আলীর দ্বিতীয় স্ত্রী।এর আগে বেলা ১২টার দিকে ধামরাই উপজেলার ক্ল্লুা ইউনিয়নের লাড়ুয়াকুন্ড চকে এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সুত্রে জানাযায়,ওই মহিলার বয়স (৪০)এর উপরে। আগের ঘরের সন্তান রেখে ঐ মহিলা দ্বিতীয় বিয়ে করেন। দ্বিতীয় স্বামীও আগের ঘরের সন্তান রেখে তাকে বিয়ে করেছিলেন নাসিমা। এরপর দ্বিতীয় ঘরের সন্তান থাকলেও তার স্বামী ভরণপোষণ দিতো না। পরে নাকি সেই সন্তানকেও তারা দত্তক দিয়েছে। আর মহিলার মানসিক সমস্যা ছিলো। সে তার পরের ঘরের সন্তানকেও গলা টিপে হত্যার চেষ্টা করেছিলো।
কুল্লা ইউপি সদস্য মোঃ মহিউদ্দিন বলেন, শুক্রবার দুপুরে সবার অগোচরে লাড়ুয়াকুন্ড চকে নিজের শরীরে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয় ওই নারী।এসময় তার চিৎকার শুনে স্থানীয়রা দগ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে ধামরাই হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানকার কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পরে নাসিমা বেগমকে ঢাকা মেডিকেল হাসপাতলে নেয়ার পথে রাস্তায় তার মৃত্যু হয়। পুলিশ ও স্বজনদের সুত্রে জানাযায়,ওই নারীকে দগ্ধ অবস্থায় প্রথম ধামরাই মেডিকেলে আনা হয়। পরে সেখান থেকে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের শেখ হাসিনা বার্ন ইউনিটে রেফার্ড করা হয়। পথিমধ্যে তার মৃত্যু হলে সন্ধ্যায় লাশ আমাদের কাছে আনেন তার স্বজনরা।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোঃ আশরাফুল ইসরাম বলেন, আজ সকালে মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য রাজধানীর হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এই ঘটনা ছাড়াও অন্য কোন ঘটনা আছে কি না আমরা তদন্ত করে দেখছি। আইনগত বিষয়টিও প্রক্রিয়াধীন।