ঢাকার ধামরাইয়ে পরিবেশ অধিদঃপ্তরের ছাড়পত্র ছাড়াই গাছ কেটে চুল্লির মধ্যে কাঠ পুড়িয়ে অবৈধভাবে কয়লা তৈরি করে পরিবেশের ক্ষতি করার আপরাধে আজ সোমবার সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত ভ্রম্যমান আদালত পরিচালনা করে ২৫টি চুল্লি ভেকু দিয়ে গুড়িয়ে দিয়েছে ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি।
জানা গেছে,অবৈধভাবে চুল্লি স্থাপন করে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা প্রস্তুত করে পরিবেশের মারাত্মক ক্ষতি সাধন করে।এছাড়া কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করার সময় ধোঁয়ায় এলাকার মানুষের বিভিন্ন ধরণের রোগবালায় আক্রান্ত হওয়ায় মৃত্যু কারণ হয়ে দাড়াঁয়। নিয়ন্ত্রন আইন অনুযায় পরিবেশে ও মানুষের ক্ষতি করে চুল্লি তৈরি স্থাপন করা যাবে না।
অথচ রাজধানী ঢাকার অদূরে ধামরাইয়ে এ ধরনের নিয়ম ভঙ্গ করে স্থাপন করা হয়েছে কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরির চুল্লি। কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি চুল্লির পূর্বেও ভেকু দিয়ে ভেঙে ধ্বংস করে দেওয়া হয়েছিল। মালিকগণ নানা কৌশল করে পূর্ণরায় চুল্লি স্থাপন করে কয়লা তৈরি করছে। এর পর যদি কোন ব্যাক্তি কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে তাহলে তাদেও বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ধামরাই উপজেলা নির্বাহী আফিসার(ইউএনও) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট হোসাইন মোহাম্মদ হাই জকি সানরাইজ বাংলা কে বলেন, বনের কাঠ পুড়িয়ে কয়লা তৈরি করে পরিবেশের ক্ষতি সাধন এবং সাধারণ মানুষের বিভিন্ন ধরণের রোগবালায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। সেই কারণে বাইশাকান্দা ইউনিয়নের গোলাকান্দায় মোঃ ফরহাদ মেম্বারের ১২টি চুল্লি, গাওতারা গ্রামের নুরুল হকের ৫টি চুল্লি এবং বালিয়া বাস্তা গ্রামের নাহিদের ৮টি চুল্লি,ভেকু দিয়ে গুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।
অভিযান চলাকালীন সময় উপস্থিত ছিলেন ধামরাই উপজেলা বন কর্মকর্তা মোঃ মোতালেব আল মমিনসহ বন বিভাগের লোকজন এবং এলাকার শতশত মানুষ উপস্থিত ছিলেন।