স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গ্যালাক্সি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ৩৩ সদস্যবিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে। সম্প্রতি ঢাকাস্থ কার্যালয়ে মোঃ শামীম সরদার (দশমিনা পটুয়াখালী) কে সভাপতি, কে এম রায়হান (বানারীপাড়া বরিশাল)কে সাধারণ সম্পাদক ও ইমন খন্দকার (চাটমোহর, পাবনা) কে সাংগঠনিক করে এই সংগঠনের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
উক্ত কমিটিতে মোঃ সুমন মৃর্ধা, রুবেল আলী, মনোয়ারুল ইসলাম, মোঃ জসিম খান, ও জাকির আহম্মেদ বাপ্পি কে সহ-সভাপতি, ইরফান খান লাল, দুলাল হোসেন, সোহেল রানা, রুবেল হাসান, আবুল খায়ের সবুজ ও আল আমিন কে যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক, নয়ন চন্দ্র ভক্ত, সাহেদুল ইসলাম, মোঃ সোহাগ মিঝি, মোঃ ফখরুল ইসলাম, ও মোঃ জামাল উদ্দিন কে যুগ্ম সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ নিজাম উদ্দিন ও সাগর দাস কে দপ্তর সম্পাদক, সুমন মৃর্ধা কে অর্থ বিষয়ক সম্পাদক, মোঃ মিলন, ক্যাডেট মোঃ রাজু ও চয়ন কুমার হাং কে প্রচার সম্পাদক মোসাম্মদ পারভিন আক্তার, জান্নাতুল ফেরদৌস ও মোসাঃ আকলিমা আফরোজ আখি কে নারী বিষয়ক সম্পাদক মোঃ আনাছ ও মো নোমান কে পররাষ্ট্র বিষয়ক সম্পাদক মোঃ জোনায়েদ ইসলাম পলাশ ও মোঃ নুর ইসলাম কে ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক ও মোঃ হাবিবুল্লাহ সজিব কে আইন বিষয়ক সম্পাদক করে কমিটি অনুমোদিত হয়েছে। গত ১১সেপ্টেম্বর সন্ধায় গ্যালাক্সি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি মো আসিফ কমিটির অনুমোদন দেন।
উল্লেখ্য গ্যালাক্সি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন একটি অরাজনৈতিক ও অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এবং ২০১৯সালে স্থাপিত হয়। সংগঠন এর শ্লোগান: রক্তের প্রয়োজন হয় জীবন বাঁচানোর তরে, রক্ত দাতা তৈরি হোক প্রতিটি ঘরে ঘরে। এর মূল উদ্দেশ্য মুমূর্ষু রোগীকে স্বেচ্ছায় রক্তদান করা, রক্তের ডোনার জোগাড় করা, অসহায় মানুষকে সহযোগিতা করা, এছাড়া বিভিন্ন সামাজিক ও সেবামূলক কাজ করা। অত্যন্ত সুনামের সাথে এই সংগঠন বিগত দিনে স্বেচ্ছায় কাজ করে আসছে। সংগঠনটি কার্যক্রম আরো গতিশীল করার লক্ষ্যে ভোলা জেলার কৃতি সন্তান প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক মোঃ: আসিফ গত ১৫ আগষ্ট ৩৩সদস্য বিশিষ্ট পূর্নাঙ্গ কেন্দ্রীয় কমিটি ঘোষণা করেন। উক্ত কমিটিতে সভাপতি শামীম সরদার ও বরিশাল জেলার বানারীপাড়া উপজেলার কৃতি সন্তান কে এম রায়হান কে সাধারণ সম্পাদক পদে দায়িত্ব দেওয়া হয়। কে এম রায়হান এর বাবার নাম মোঃ শাহ আলম খান ও মাতার নাম সুলতানা রাজিয়া। পরিবারে মা-বাবা ও ছোট ভাই আছে এবং সে বড়। ছাত্রজীবনে সে মানুষের সুখ দুঃখে পাশে দাঁড়ানো ও মুরব্বিদের সহযোগিতা করার চেষ্টা করতেন এবং বড় হয়ে অসহায় ও মুমূর্ষু, গরীব মানুষের পাশে দাঁড়ানোর স্বপ্ন দেখতেন। বর্তমানে তিনি ঢাকায় একটি স্বনামধন্য প্রাইভেট কোম্পানিতে সুনামের সাথে চাকরি করছেন। তার একটি মাত্র ইচ্ছা জীবনের শেষ রক্ত বিন্দু থাকা পর্যন্ত অসহায় ও মুমূর্ষু মানুষের পাশে থেকে সকল ধরনের সহযোগিতা করবেন, সুস্থ থাকলে চার মাস অন্তর স্বেচ্ছায় রক্ত দান করে যাবেন, রক্ত জোগাড় করে দিতে চেষ্টা করবেন এবং এই সংগঠনে কাজ করে যাবেন। মানুষ তাকে নিয়ে কি সমালোচনা করলো সেটা তোয়াক্কা না করে এই সংগঠন এর কমিটির সবাইকে নিয়ে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবেন এবং সংগঠন কে সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবেন। এছাড়া তিনি বলছেন :টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া, রূপসা থেকে পাথুরিয়া পর্যন্ত এই সংগঠন এর বিস্তার ছড়িয়েছে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। উল্লেখ্য বিগত কমিটিতে তিনি সিনিয়র সহ-সভাপতি ছিলেন ও অত্র সংগঠন এর প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে আছেন।
সবার কাছে তিনি ও তার পরিবারের মা-বাবা দুআ চেয়েছেন এবং আল্লাহ যেন তাকে সব সময় সুস্থ রাখেন। তিনি সবার সুস্বাস্থ্য ও সুন্দর জীবন কামনা করছেন।