ঢাকার ধামরাইয়ে মম ফ্যাশন পোশাক কারখানার শ্রমিকদের বেতন-ভাতার টাকা না দিয়ে অনির্দিষ্টকালের জন্য পোশাক কারখানা বন্ধের প্রতিবাদে ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছেন কারখানার শ্রমিকরা।
মঙ্গলবার (১৫ নভেম্বর) দুপুরের দিকে ধামরাই উপজেলার সোমভাগ ইউনিয়নের জয়পুরা এলাকার মম ফ্যাশন লিমিটেড কারখানার সামনে বিক্ষোভ মিছিল করেন শ্রমিকরা। এই সময কারখানার প্রায় ১ হাজার শ্রমিক ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষাভ করেন।পরে তারা বন্ধ কারখানা খুলে দেওয়ার দাবি জানান। বিক্ষোভ করা শ্রমিকরা জানান, এ কারখানায় শ্রমিকদের ছুটির টাকা, মাতৃত্বকালীন ছুটির টাকা দেয়া হয়না, কারন ছাড়াই শ্রমিক ছাঁটাই করা হয়।এছাড়া শ্রমিকদের মারধর ও গালিগালাজ করা হয়। শ্রমিকদের বেতন দেড়িতে দেয়া হয়। এসবের প্রতিবাদে গতকাল শ্রমিকরা কারখানায় কর্মবিরতি পালন করেন। কর্মবিরতি চলাকালে মালিক পক্ষ অশ্বাস দেন শ্রম আইন অনুসরন করে কারখানা সঠিক নিয়মে পরিচালনা করা হবে। কিন্তু আজ সকালে অফিসে এসে দেখি কারখানা সামনে নোটিশ বোর্ডে শ্রম আইনের ১৩/১ ধারায় বন্ধ ঘোষনা করেন কারখানার সামনে পুলিশ বসা রয়েছে।
সুয়িং অপারেটর রুহুল আমিন , সুয়িং অপারেটর রংমালা, সুয়িং অপারেটর লিজা আক্তার, সুইং হেলপার সুজন মিয়াসহ অনেকেই বলেন, আমাদের দাবি আমাদের কারখানা খুলে দেয়া হোক এবং শ্রম আইন অনুযায়ী পরিচালনা করা হোক। এই বিষয়ে গার্মেন্টস শ্রমিক ফেডারেশনের সভাপতি অরবিন্দু বেপারী (বিন্দু) বলেন, শ্রমআইন অনুসরন করে কারখানা পরিচালনার দাবিতে গতকাল সোমবার (১৪ নভেম্বর) শ্রমিকরা কর্মবিরতি করাতে কারখানার মালিক শ্রমিকদের আশ্বাস দিয়েছিলেন শ্রমিকদের সকল দাবিই মেনে নিবেন তিনি। কিন্তু আজ সকালে শ্রমিকরা কারখানায় কাজে যোগদান করতে গেলে গেইটে অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষনার নোটিশ দেখতে পান।
পরে কারখানা খুলে দেওয়ার দাবিতে শ্রমিকরা কারখানার সামনে বিক্ষোভ করলে পুলিশ শ্রমিকদের সরিয়ে দিয়ে কারখানার সামনে অবস্থান নেন৷ এবিষয়ে আশুলিয়া শিল্প পুলিশ-১ এর সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) আবু জাফর মোহাম্মদ সালেহ বলেন, মালিক পক্ষ কারখানাটি বন্ধ ঘোষনা করেছেন। কারখানায় ১ হাজারের মতো শ্রমিক ছিলো। শ্রমিকরা কারখানার সামনে অবস্থান করেছিলো। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। তবে কি কি কারণে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে তা জানাতে পারেননি তিনি।
এ বিষয়ে জানতে মম ফ্যাশন লিমিটেডের চেয়ারম্যান মোঃ মশিউর রহমান মামুনের মুঠোফোনে একাধিক বার ফোন করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেন নি।