ঢাকার ধামরাইয়ে৷ দ্রুতগামী একটি বাস নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে ২জন নিহত হয়েছে। এতে আহত হয়েছে কমপক্ষে ২০। স্থানীয় লোকজন আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেন।
আজ শুক্রবার (২৩ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে খাদে পড়া বাসটি রেকার দিয়ে উঠানো হলে বাসের ভিতরে পানির মধ্যে থেকে একটি পুরুষ ও একটি মহিলার লাশ উদ্ধার করেন ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এর আগে গতকাল বৃহস্পতিবার (২২ডিসেম্বর) দিনগত রাত ৯টার দিকে নিয়তন্ত্র হারিয়ে বাসটি খাদে পড়ে যায়। রাতেই ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা চেষ্টা করে বাস তুলতে পারিনি। তবে আহতদের উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতাল চিকিৎসা দেন।
নিহতরা হলেন, মানিকগঞ্জ জেলার দৌলতপুর থানার মোঃ সোবাহান মির্জার ছেলে মোঃআব্দুল বাতেন, ধামরাই উপজেলার সূতিপাড়া ইউনিয়নের শ্রীরামপুর গ্রামের মোঃ শাজাহান মিয়ার মেয়ে মুক্তা আক্তার(৩১)। স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, ধামরাই বারবাড়িয়া বাস স্ট্যান্ড থেকে নয়ারহাট বাস স্ট্যান্ডে যাওয়ার উদ্দেশ্যে ঢাকা আরিচা মহাসড়কে বালিথা একেএস গার্মেন্টসের সামনে পৌছালে বাসটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। পরে ফায়ার সার্ভিসের খবর দিলে তারা উদ্ধারের কাজ করছে। কিন্তু অনেক চেষ্টা করে ডোবা থেকে গাড়িটি তুলতে পারেনি। আজ রেকার দিয়ে বাস উঠানো হলে পানির মধ্য থেকে একজন মহিলা এবং একজন পুরুষের লাশ উদ্ধার করেছে ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা।
এই বিষয়ে ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা বলেন,অনেক চেষ্টা করে আজ সন্ধ্যা ৭টায় রেকার দিয়ে গাড়ীটি উদ্ধার করলে বাসের নিচে পানির মধ্যে থেকে দুটি লাশ উদ্ধার করা হয়। লাশ দুটি গোলড়া হাইওয়ে থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এই বিষয়ে গোলড়া হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাসুদ খান জানান, খবর পেয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
পরিবারের কোন অভিযোগ না থাকায় লাশ দুটি পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।