ঢাকার ধামরাইয়ে পৌরসভার কুমড়াইল এলাকায় একটি বাসায় গ্যাস সেলেন্ডারের লিকেজ থেকে বিস্ফোরণে এক শিশুসহ একই পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ হয়েছে। তাদের উদ্ধার করে দ্রত ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে।
আজ শনিবার (৭জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে ধামরাই উপজেলার কুমড়াইল কবরস্থান সংলগ্ন মোঃ কুব্বত আলীর বাড়ীর নিচতলায় এমন দুর্ঘটনা ঘটে। দগ্ধরা হলেন-গার্মেন্টসকর্মী মোঃ মনজুরুল ইসলাম (৩২),তার স্ত্রী জোসনা বেগম(২৫), তাদের দেড় বছরের একটি মেয়ে মরিয়ম আক্তার, জোসনা বেগমের বড় বোন হোসনা আক্তার (৩০) এবং ভাগনি সাদিয়া আক্তার (১৮)।আহতদের বাড়ী বাড়ি নীলফামারীর জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলায়। তারা ধামরাই কুমড়াইল এলাকায় মোঃ কুব্বত আলীর বাড়ীতে ভাড়া থেকে গার্মেন্টসে চাকরি করেন। এদের মধ্যে জোৎনা বেগমের অবস্থা আশংকা জনক বলে জানাগেছে।
স্থানীয় সুত্রে জানা যায়, আজ ভোর ৫টার দিকে ঘুম থেকে উঠে জোসনা বেগম ভাত রান্না করার জন্য রান্না ঘরে গিয়ে গ্যাসের চুলায় আগুন জালানোর সাথে সাথে গ্যাসের সেলেন্ডারের লিকেজের আগুন ধরে সাথে থাকা শোয়ার ঘরের রুমে আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ঘরের ভিতরে থাকা পরিবারের সকলের গায়ে আগুন লেগে দগ্ধ হয়ে পড়ে।পরে তাদের চিৎকারে শুনে আশে পাশের রুমের লোকজন চুটে গিয়ে পানি দিয়ে আগুন নিবিয়ে আহতদের উদ্ধার করে ধামরাই সরকারী হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদের অবস্থার অবনতি দেখে তাদেরকে ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করেন এই বিষয়ে প্রতিবেশী ভাড়াটিয়া মোঃ নিজাম শেখ জানান, আমরা ঘুমিয়ে ছিলাম হঠাৎ ভোরে পাশের রুম থেকে বিকট একটি শব্দ শুনতে পান। এরপর ভবনের নিচতলা থেকে চিৎকার ও ধোঁয়া উঠতে দেখেন।সঙ্গে সঙ্গে দৌড়িয়ে নিচতলায় গিয়ে দেখি রুমের ভিতরে পরিবারের পাঁচজন দগ্ধ অবস্থায় চিৎকার করছেন। আগুনে বিছানার কিছুটা পুড়ে গেছে। পরে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে নিয়ে ভর্তি করি।
এই বিষয়ে কুমরাইল ৬নং ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মজুল আহম্মেদ বলেন গ্যাস সেলেন্ডারের লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়ে সবায় দগ্ধ হয়েছে।তাদের উদ্ধার করে ঢাকা শেখ হাসিনা বার্ন ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। আমাদের গ্যাস লাইনে গ্যাস না থানায় গ্যাসের সেলেন্ডার ব্যবহার করা হচ্ছে। যার করেণে এই দূর্ঘটনা ঘটেছে। এই বিষয়ে ধামরাই ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তা মোঃ সোহেল রানা বলেন, খবর পেয়ে দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখি প্রতিবেশিরা দগ্ধদের উদ্ধার করে ধামরাই সরকারী হাসপাতলে নিয়ে গেছে। কিন্তু অবস্তার অবনতি হলে ডাক্তার তাদের ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে প্রেরণ করেছে। তবে ধারনা হরা হচ্ছে গ্যাস সেলেন্ডারের লিকেজ থেকে গ্যাস বের হয়েছিল। ভোরে যখন রান্নার জন্য গ্যাসের চুল্য়া আগুন জ্বালানোর পর লিকেজ থেকে জমে থাকা গ্যাসের কারণে বিস্ফোরণ হয়ে তারা দগ্ধ হয়েছেন।
এই বিষয়ে বার্ন ইনস্টিটিউটের জরুরি বিভাগের আবাসিক সার্জন ডা. এসএম আউয়ুব হোসেন জানান, তাদের সবার শরীরেই গুরুতর দগ্ধ হয়েছে। তাদেরকে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।