ঢাকার ধামরাই পৌরসভার কুমড়াইল এলাকার কুব্বত আলীর বাড়িতে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় দগ্ধ চিকিৎসাধীন ৫জনের মধ্যে ৪জনের মৃত্যু হয়েছে বলে জানাগেছে। ঘটনার একদিন পর ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দেড় বছরের শিশু মরিয়ম ।
গতকাল মঙ্গলবার দিন বিকালে জোসনা ও সাদিয়ার মৃত্যু হয় এরপর আজ বুধবার দুপুরের দিকে জোসনার বোন হোসনা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে।
আজ বুধবার(১১জানুয়ারি) বেলা ৩টার দিকে মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ধামরাই থানার (ওসি অপারেশন) নির্মল কুমার দাস। এর আগে গত শনিবার (৭জানুয়ারি) ভোর ৫টার দিকে ধামরাই পৌরসভার কুমড়াইল এলাকার কুব্বত আলীর মালিকানাধীন দুতলা বাড়ির নিচ তলার একটি রুমে এই দুর্ঘটনা ঘটে। এঘটনায় একই পরিবারের পোশাক কর্মী মনজুরুল (৩২) ও তার স্ত্রী জোসনা বেগম (২৫), তাদের দেড় বছরের মেয়ে শিশু মরিয়ম আক্তার, স্ত্রীর বড় বোন হোসনা আক্তার (৩০) এবং ভাগনি সাদিয়া আক্তার(১৮) দগ্ধ হয়। মনজুরুল চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গিয়াছেন ,মনজুরুলের বাড়ি নীলফামারীর জেলার কিশোরগঞ্জ উপজেলার বাসিন্দা। তিনি পরিবারসহ ধামরাইয়ের কুব্বত আলীর বাড়িতে ভাড়া থেকে স্থানীয় একটি গার্মেন্টসে কাজ করতেন। ভাগনি সাদিয়া ও বোন হোসনা আক্তার তার বাসায় বেড়াতে এসে ছিলেন ঐ দিন।
নিহত জোসনার খালাতো ভাই মোঃ মাজাহার জানান, গত ৭ তারিখে গ্যাস সিলিন্ডার লিকেজ থেকে বিস্ফোরণের ঘটনায় ৫জনই দগ্ধ হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে ভর্তি করেন। পরে সেখান থেকে তাদের ঢাকা শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়। ভর্তির ১দিন পরই চিকিৎসাধীন অবস্থায় জোসনার দেড় বছরের শিশু মরিয়মের মৃত্যু হয় এবং গতকাল মঙ্গলবার চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুরের দিকে সাদিয়ার এবং বিকালের দিকে জোসনা বেগমের মৃত্যু হয়।
আজ বৃধবার ১১জানুয়ারী দুপুরের দিকে জোসনার বোন হোসনা আক্তারের মৃত্যু হয়। এই বিষয়ে ধামরাই থানার (ওসি অপারেশন) নির্মল কুমার দাস জানান,বিস্ফোরণের ঘটনার একদিন পর মরিয়ম এরপর গতকাল মঙ্গলবার জোসনা ও তার ভাগিনী সাদিয়া আক্তারের মৃত্যু হয় এবং আজ বুধবার ১১জানুয়ারী জোসনার বোন হোসনা আক্তারের মৃত্যু হয়েছে বলে স্বজনরা আমাদের জানিয়েছে।
তারা থানায় এসেছিল গ্যাস থেকে বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে বলে তাদের কোন অভিযোগ নেই।