যে কোন ব্যাক্তি জুমআর নামাজ হতে বিমুখ থেকে খেলাধুলা, ব্যবসা-বাণিজ্য অথবা পার্থিব কোনো কাজ-কর্মে নিজেকে ব্যস্ত রাখে। আল্লাহ তাআলাও তার দিক থেকে বিমুখ থাকেন।
অর্থাৎ সে ব্যক্তির কোনো ইবাদাত-বন্দেগি আল্লাহর তাআলার কাছে গ্রহণযোগ্য হয় না। মুসলিম উম্মাহর জন্য আল্লাহর পক্ষ থেকে এটা অনেক বড় অভিসম্পাত।কোনো ওজর বশত জুমআ পরিত্যাগ করা, তা ভিন্ন কথা। কিন্তু সক্ষম ও সামথ্যবান সবাইকে জুমআর নামাজের প্রতি যত্নবান হওয়ার ব্যাপারে কুরআন হাদিসে সুস্পষ্ট সতর্কতা ও শাস্তির ঘোষণা দেয়া হয়েছে।
জুমআর দিন যেহেতু সপ্তাহের শ্রেষ্ঠ দিন। এ দিনের অসংখ্য ফজিলত ও গুরুত্ব রয়েছে। এ দিনের প্রতিটি কর্মকাণ্ডই মুসলিম উম্মাহর জন্য রহমত, বরকত ও মাগফিরাতের সমতুল্য। সুতরাং এ দিনের নামাজ, আমল ও ইবাদাত-বন্দেগির ব্যাপারে অবহেলা করার কোনো সুযোগ নেই।
আল্লাহ তাআলা জুমআর নামাজের গুরুত্বারোপ করে কুরআনে আয়াত নাজিল করে বলেছেন, জুমআর দিন আজানের সঙ্গে সঙ্গে আল্লাহর স্মরণে মসজিদে নামাজে যাওয়ার কথা। আবার নামাজের পরে তাদের জীবিকার সন্ধানে জমিনে ছড়িয়ে পড়ার কথাও বলেছেন।অতপর অনন্তর যারা আল্লাহ বিধান অমান্য করে জুমআর নামাজের ব্যাপারে অলসতা ও অবহেলা করে খেলতামাশা দুনিয়ার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। তাদের জন্য কঠিন হুশিয়ারি স্বরূপ তৎপরবর্তী আয়াতেই আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘তারা যখন কোনো ব্যবসায়ের সুযোগ অথবা ক্রীড়াকৌতুক দেখে; তখন আপনাকে দাঁড়ানো অবস্থায় রেখে তারা সেদিকে ছুটে যায়। (হে রাসুল) আপনি বলে দিন, আল্লাহর কাছে যা আছে (ছাওয়াব ও নৈকট্য লাভে), তা ক্রীড়াকৌতুক ও ব্যবসায় অপেক্ষা উৎকৃষ্ট। আল্লাহ সর্বোত্তম রিযিকদাতা।’ (সুরা জামআ : আয়াত ১১)
বিশ্বনবি আয়াত নাজিলের পরও তাদের সতর্ক করতে হাদিসে উল্লেখ করেছেন, হজরত জাবের রাদিয়াল্লাহু আনহু হতে বর্ণিত তিনি বলেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, যে ব্যক্তি জুমআর নামাজ হতে বিমুখ থাকে এবং খেলাধুলা ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিয়ে ব্যস্ত থাকবে আল্লাহ তাআলা তার থেকে বিমুখ থাকবেন। আল্লাহ স্বয়ং সমৃদ্ধ এবং অধিক প্রশংসিত। (দারাকুতনি)
আল্লাহর অভিশাপ ও উত্তম রিযিক থেকে বঞ্চিত না হতে উম্মতে মুহাম্মাদির সব সময় পাঁচ ওয়াক্ত নামাজসহ জুমআর প্রতি গুরুত্বরোপ করা জরুরি। আল্লাহর ঘোষণা তিনি জুমআ পালনকারীদের জন্য রেখেছেন সর্বোত্তম রিযিক।