ঢাকার ধামরাইয়ে তিন বছরের এক মেয়ে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় মোঃ ইমরান আহম্মেদ সোহাগ(১৬)নামে এক মাদ্রাসার ছাত্রকে আটক করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
বুধবার(২২মার্চ) দিনগত রাতে ধামরাই উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের উলাইল গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়।আটককৃত, মোঃ ইমরান আহম্মেদ সোহাগ উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের উলাইল গ্রামের মোঃ কহিনুর ইসলামের ছেলে। সে ঢাকায় একটি মাদ্রসাই পড়াশোনা করে বলে জানাগেছে এবং তার বাবা বিদেশে থাকে। এলাকাবাসি ও পুলিশ সুত্রে জানাযায়, গতকাল বিকাল বেলা চকলেটের লোভ দেখিয়ে গোপনে ইমরান আহম্মেদ সোহাগ তাদের বাড়ীর পিছনে নিয়ে তিন বছরের মেয়ে প্যান্ড খোলে ধর্ষণের চেষ্টা করে।
পরে মেয়েটির চিৎকারে করে বাড়ীতে গিয়ে তার মা-বাবাকে বলে। পরে মেয়েটির মা-বাবা ধামরাই থানা পুলিশকে খবর দেয়। পুলিশ গিয়ে ঘটনার সত্যতা পেয়ে রাতেই অভিযান চালিয়ে উলাইল গ্রাম এলাকা থেকে ধর্ষণের অভিযুক্ত মোঃ ইমরান আহম্মেদ সোহাগকে আটক করে। এই বিষয়ে মেয়ের বাবা মোঃ করিম মিয়িা বলেন,আমি রড মিস্ত্রির কাজ করি। সেই করেণে বেশির সময়ে আমাকে বাড়ীর বাইরে থাকতে হয়। আর আমার স্ত্রী বাড়ীর কাজ করে। সেই সুযোগে সোহাগ আমার মেয়েকে ডেকে নিয়ে এমন কাজ করে। আমি এর কঠিন বিচার দাবি করি আইনের কাছে।
এই বিষয়ে ধামরাই থানার উপ-পরিদর্শক(এস আই)মোঃ রশিদউদ্দিন বলেন, উপজেলার নান্নার ইউনিয়নের উলাইল গ্রামে এক তিন বছরের মেয়েকে ঘরের ঘরের পিছনে নিয়ে জোর করে ধর্ষণের চেষ্টার ঘটনায় এলাকাবাসি থানায় ফোন দিলে আমি সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে দ্রত ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতার যাচাইবাচাই করে প্রমাণ পায়। পরে রাতেই উলাইল গ্রামে অভিযান চালিয়ে মোঃ ইমরান আহম্মেদ সোহাগকে আটক করে ধামরাই থানায় নিয়ে আসি।
পরে আজ সকালে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের চেষ্টা মামলা দিয়ে আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।