ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের ধামরাইয়ে জয়পুরা এলাকায় অবস্থিত মমো ফ্যাশন লিঃ নামক পোশাক কারখানার ভিতর থেকে শামীম হোসেন (৩২) নামে এক শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার করেছে ধামরাই থানা পুলিশ।
আজ সোমবার (২৭মার্চ) দুপুরে দিকে ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের জয়পুরা এলাকার মমো ফ্যাশন গার্মেন্টস কারখানার ভিতর থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। এঘটনায়কে কেন্দ্র করে কারখানার শ্রমিকদের মাঝে উত্তেজনা বিরাজ করছে। যেকোন সময় বড় ধরনের দূর্ঘটনা ঘটতে পারে বলে জানান শ্রমিকরা। নিহত শামীম হোসেনের বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার সলঙ্গা থানার রোয়াপাড়া গ্রামের মোঃ আলম মিয়া ছেলে। তিনি স্ত্রী সন্তান নিয়ে সাভার এলাকায় বাসা ভাড়া থাকতেন। ইতিপুর্বেও মমো ফ্যাশন কারখানার লিঃ ভিতর থেকে শ্রমিকের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। নিহত শ্রমিকের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেন ধামরাই থানার ওসি মোঃ আতিকুর রহমান। শ্রমিক সুত্রে জানা যায়, ঢাকা আরিচা মহাসড়কের পাশে অবস্থিত জয়পুরা মমো ফ্যাশন লিঃ কারখানার প্রায় এক হাজার শ্রমিক কাজ করেন। বেতন বকেয়া নিয়ে মাঝে মধ্যে ওই কারখানার শ্রমিক অসন্তোষ দেখা যায়। বিশেষ করে ঈদের সামনে শ্রমিকদের বেতন বকেয়া নিয়ে শ্রমিক ও মালিক পক্ষের সাথে বিরোধ চলে। এমনকি শ্রমিকরা মাঝে মধ্যে মহাসড়ক অবরোধ করা মত ঘটনাও ঘটেছে।
আজ সোমবার দুপুরে ওই কারখানার ভিতর থেকে পোশাক শ্রমিক শামীম হোসেন নামের এক শ্রমিকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতের লাশ ময়না তদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছেন পুলিশ। নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক একাধিক শ্রমিক বলেন,কারখানার মালিক পক্ষ পুলিশকে খবর দিয়ে দ্রুত লাশ থানায় পাঠিয়েছেন। কিন্তু শামীম কি ভাবে মারা গেছে তা তারা সঠিক জানিনা। এই বিষয়ে মমো ফ্যাশন লিঃ কারখানার এ্যাডমিন ম্যানেজার মোঃ বাদল হোসেন বলেন,আমার মনে হয় কাজ করার সময় বিদুৎ স্পর্শে করে মারা গেছে। এর বাহিরে কিছু বলতে পারবো না আমি। মালিকের কথা জানতে চাইলে তিনি বলেন, কারখানার মালিক মানিকগঞ্জ সদর উপজেলার হাটিপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ মনির হোসেন।
এই বিষয়ে মালিক মোঃ মনির হোসেন বলেন, কারখানার ভিতরে শামীম হোসেনের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে কি ভাবে মারা গেছে তা আমি বলতে পারবাে না। এই বিষয়ে ধামরাই থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মোঃ আতিকুর রহমান বলেন, মমো ফ্যাশন গার্মেন্টস কারখানায় বিদ্যুৎ এ পৃষ্ঠ হয়ে শ্রমিক নিহত হয়েছে। লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। লাশটি ময়না তদন্তের জন্য হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হবে। তবে নিহতের পরিবারের অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।