দেশে পবিত্র রমজানে ইফতারে একেক দেশে একেক ধরনের খাবার গ্রহণের চল রয়েছে। বাংলাদেশের মানুষের ইফতারির তালিকায়ও কিছু খাবার সব এলাকাতেই কমবেশি দেখা যায়। এসব খাবারে নানা রকম গুণ আছে।কিছু খাবার আছে সারাদিন রোজা থাকার পর ইফতারির সময় কিছু খাবার খাওয়া ভালো ।
খেজুর: রোজায় দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকার কারণে অনেকের পানি ও লবণের ভারসাম্যহীনতা দেখা যায়। যার ফলে মাথাব্যথা, পানিশূন্যতা, কোষ্ঠকাঠিন্য হতে পারে। আর পটাশিয়াম ও সোডিয়াম থাকায় সহজেই এসব সমস্যার সমাধান দিতে পারে খেজুর। আয়রন ও ক্যালসিয়াম ভালো থাকায় শিশু ও গর্ভবতী মায়েদের জন্যও খেজুর উপকারী। অনেকের মিষ্টির প্রতি আসক্তি থাকে। তারা খেজুর, বাদাম, দুধ ইত্যাদি ব্যবহার করে মিষ্টি খাবার কিংবা খেজুরের চিনি ব্যবহার করে খেতে পারেন। তবে খেজুরের পরিমাণ যেন অতিরিক্ত না হয়ে যায়, সেদিকে নজর দেওয়া জরুরি। ডায়াবেটিস রোগীর একটি বা দুটির বেশি খেজুর না খাওয়া ভালো।
দইচিড়া: দইচিড়া সহজে পরিপাক হয়। ক্লান্তিভাব কাটিয়ে রোজাদারকে চাঙা হতে সাহায্য করে। খাবারটি শরীরের পানিশূন্যতা দূর করে। দইচিড়া পেট ঠান্ডা রাখে, যা একজন রোজাদার ব্যক্তির জন্য খুব উপকারী। চিড়ায় পটাশিয়াম ও সোডিয়াম কম থাকায় কিডনি রোগীদের জন্যও উপকারী। এ ছাড়া চিড়ায় আঁশের পরিমাণ কম থাকায় ডায়রিয়া, ক্রনস ডিজিজ, আলসারেটিভ কোলাইটিস, অন্ত্রের প্রদাহ এবং রোগ প্রতিরোধে উপকারী। তবে চিড়ায় যথেষ্ট শর্করা আছে, তাই ডায়াবেটিস থাকলে বেশি খাওয়া যাবে না। অপর দিকে দইয়ে রয়েছে প্রোবায়োটিক, যা গাট হেলথ ও অস্টিওপরোসিস রোধে উপকারী।